লগইন করুন
“বরং আল্লাহই তোমাদেরকে ঈমানের দিকে পরিচালিত করে তোমাদের প্রতি করুণা করেছেন।” (৪৯-সূরা আল হুজরাত: আয়াত-১৭)
ঈমানদার যখন কাফেরকে পর্যবেক্ষণ করে তখন ঈমানদারকে যে অনুকূল বিশেষ বিষয় দান করা হয়েছে সেই একটি বিশেষ কল্যাণ অধিকাংশ লোকের নিকটই উপেক্ষিত থাকে। ইসলামের পথে মু’মিনকে আল্লাহর পথ-প্রদর্শনের কল্যাণের কথা ঈমানদার স্মরণ করে। সে আল্লাহর প্রতি এজন্য কৃতজ্ঞ যে তিনি তার ভাগ্যে কাফেরের মতো হওয়ার-কথা লিখে রাখেননি। যে (কাফের) না কি বিদ্রোহ করে, আল্লাহর নিদর্শনবলিকে অস্বীকার করে, তার পরম গুণাবলিকে অবিশ্বাস করে, তার নবী-রাসূলদেরকে অবিশ্বাস করে এবং পরকালকে অবিশ্বাস করে।
অধিকন্তু, মু’মিন ব্যক্তি ইবাদতের সকল বাধ্যতামূলক আমলগুলো সম্পাদন করে। সম্ভবত তার সেসব কর্ম সম্পাদন (অর্থাৎ আমল) নিখুঁত নয়, তবুও শুধুমাত্র আমল করাটাই এক মহা অনুগ্রহ। এটা এমন এক নেয়ামত যার জন্য খুব কম লোকই কৃতজ্ঞ।
أَفَمَن كَانَ مُؤْمِنًا كَمَن كَانَ فَاسِقًا لَّا يَسْتَوُونَ
“তবে যে ব্যক্তি মু’মিন সে কি সে ব্যক্তির মতো যে ফাসেক? তারা সমান নয়।” (৩২-সূরা আস সাজদাহ: আয়াত-১৮)
কুরআনের কিছু কিছু ব্যাখ্যাকার বলেছেন যে, মু’মিনদের জন্য বেহেশতের আনন্দের মাঝে এটাও এক আনন্দের বিষয় হবে যে, তারা দোজখবাসীদেরকে উপর থেকে দেখতে পারবে এবং তাদের প্রতিপালক তাদেরকে যা দান করেছেন সে জন্যে তারা তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।