লগইন করুন
আহমদ ইবনে ইউসুফ লিখেছেন যে, মানুষ ভালোভাবেই জানে যে, রাত্রির অন্ধকারের পর যেমন দিন আসে তেমনিভাবে দুঃখের পর সুখ আসে। এ জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও যখন দুর্যোগ আঘাত হানে তখন মানুষের দুর্বল প্রকৃতি প্রবল হয়। যে ব্যক্তি পরীক্ষায় পড়ে তার উচিত, তার অবস্থার সংস্কার করার জন্য (প্রয়োজনীয়) পদক্ষেপ গ্রহণ করা, অন্যথায় হতাশা তাকে অধিকার করে বসবে। অতীতে যারা পরীক্ষিত হয়েছেন তাদের ধৈর্যের কথা নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করা ইচ্ছাশক্তিকে শক্তিশালী করার একটি উপায়।
পরে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, স্বস্তির পূর্বে কষ্ট, খাবার পূর্বে ক্ষুধার সদৃশ। (ক্ষুধা লাগার ফলে যখন খাবারের রুচি হয়) খাবার তখন স্বাদগ্রন্থিতে এক বিশেষ প্রভাব ফেলে। প্লেটো বলেছেন- কষ্ট জীবনের জন্য যতটা ক্ষতিকর আত্মার জন্য ততটাই উপকারী। আরাম জীবনের জন্য যতটা উপকারী আত্মার জন্য ততটাই ক্ষতিকর।”
যখন কেউ তার জীবনের উদ্দেশ্য বুঝতে শুরু করে তখন সে জানতে পারবে যে, সে হয়তো আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরস্কার পাওয়ার জন্য পরীক্ষিত হচ্ছে নয়তো তার পাপের শাস্তি পাচ্ছে। তানুখীর লেখা একখানি কিতাব পড়ার পর আমি এ তিনটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি-
১. কষ্টের পরে আরাম আসে। এটা জীবনের অটল আদর্শ।
২. আরাম-আয়েশের তুলনায় দুঃখ-কষ্ট মানবাত্মার জন্য অধিকতর উপকারী।
৩. একমাত্র আল্লাহ কল্যাণ বয়ে আনেন এবং মন্দকে বিতাড়িত বা দূরীভূত করেন। জেনে রাখুন যে, আপনার যা কিছু ঘটে তা আপনার জন্য পূর্ব নির্ধারিত আছে এবং যা কিছু আপনি হারিয়েছেন তা কখনো আপনার উদ্দেশ্যে ছিল না।