লগইন করুন
ডেল কার্নেগী এক ক্ষতযুক্ত রোগীর গল্প বর্ণনা করেছিলেন, সে রোগীর ক্ষত বেড়ে গিয়ে মারাত্মক পর্যায়ে উপনীত হয়েছিল, চিকিৎসকগণ তাকে বলেছিল যে, তার জীবনের খুব অল্প সময়ই আছে (অর্থাৎ সে খুব কম সময় বাঁচবে)। তারা তাকে পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত দিয়েছে যে, দাফন-কাফনের প্রস্তুতি গ্রহণ করাই তার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
হঠাৎ করে রোগী হানী (রোগীর নাম-হানী) এক স্বত:স্ফূর্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল: সে মনে মনে ভাবল যে, জীবনে যদি তার এত অল্পসময়ই অবশিষ্ট থেকে থাকে তবে কেন এটাকে সর্বোচ্চ উপভোগ করব না? সে ভাবল, কতবারইনা আমার মৃত্যুর পূর্বেই পৃথিবীটাকে ভ্রমণ করার ইচ্ছা করেছি। আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার এটাই নিশ্চিত সুযোগ।” সে তার টিকেট ক্রয় করে নিল।
চিকিৎসকগণ যখন তার পরিকল্পনার কথা জানতে পারল তখন তারা বিক্ষিত হয়ে গেল এবং তারা তাকে বলল, “আমরা বিধিমতে আপনার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি এবং আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি: যদি আপনি এই ভ্রমণে অগ্রসর হন তবে আপনি মহাসাগরের তলদেশে কবরস্থ হবেন।” তাদের যুক্তি তর্ক বৃথা হয়ে গেল এবং তিনি শুধু বলেছিলেন “না, এমন কিছুই ঘটবে না। আমার পরিবারের সদস্যদেরকে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে আমি পারিবারিক গোরস্থানে কবরস্থ হওয়ার জন্য ফিরে আসব।”
এভাবে সে তার পরমোল্লাস ও আনন্দের যাত্রা শুরু করল। সে তার স্ত্রীকে একথা বলে চিঠি লিখল যে, “আমি ভ্রমণ-জাহাজের সর্বাপেক্ষা মনোরম খাবার খাই। আমি কাব্য পড়ি এবং এ যাবৎ আমি যে সুস্বাদ চর্বিযুক্ত খাবার খেতাম না তা এখন খাই। আমি আমার পূর্বের গোটা জীবনে যে আনন্দ করছি এখন আমি তার চেয়ে বেশি জীবনকে উপভোগ করছি।”
ডেল কার্নেগী দাবি করেন যে, লোকটি তার রোগ থেকে মুক্ত হয়েছিল এবং সে যে উদ্দীপক পন্থা গ্রহণ করেছিল তা রোগ-শোক ও ব্যথা-বেদনা দূর করতে সক্ষম।
উপদেশ: সুখ, আনন্দ-স্ফূর্তি এবং শান্ত ভাব ও সৌম্যতা প্রায়ই চিকিৎসকদের বড়ির চেয়েও বেশি উপকারী।