লগইন করুন
أَمْ يَحْسُدُونَ النَّاسَ عَلَىٰ مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ
“নাকি আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে মানুষদেরকে যা দান করেছেন সে বিষয়ে তারা তাদেরকে হিংসা করে।” (৪-সূরা আন নিসা: আয়াত-৫৪)
হিংসা এমন এক ব্যাধি যা শুধুমাত্র মনেরই নয় দেহেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। বলা হয় যে, হিংসুক লোকের কোন বিশ্রাম (ঘুম) নেই ও সে বন্ধুর লেবাসে একজন শক্র । হিংসারোগ সম্বন্ধে ঠিকই বলা হয় যে, এটা কম পক্ষে একটা ভয়; কেননা, এটা হিংসুককেই প্রথমে হত্যা করে (অর্থাৎ হিংসা হিংসুককে তিলে তিলে ধ্বংস করে। -অনুবাদক) আমি আমাকে ও আপনাকে উভয়কেই হিংসা করতে নিষেধ করছি; কেননা অন্যদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করার পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই প্রথমে নিজেদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করতে হবে। অন্যের প্রতি হিংসা করে আমাদের রক্তে মাংসে গড়া দেহখানাকে দুর্দশাগ্রস্ত করছি ও আমাদের গভীর ঘুমকে নষ্ট করছি। হিংসুক ব্যক্তি (যেন) আগুন জ্বালিয়ে সে আগুনে নিজেই বাপ দেয়। হিংসা দুঃখ-বেদনা ও ভোগান্তি এনে এক সময়ের শান্তিপূর্ণ ও পূর্ণময় জীবনকে ধ্বংস সাধন করে।
হিংসুক ব্যক্তির অভিশাপ এই যে, সে ভাগ্যকে অস্বীকার করে এবং তার সষ্টাকে অবিবেচক মনে করে।
হিংসা কোন রোগের মতো? এটাতো অন্যান্য রোগের মতো নয়। হিংসুক ব্যক্তি এ রোগের কারণে পরকালে কোন পুরস্কার পাবে না। (অথচ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের রোগ ভোগ ও তাতে ধৈর্য ধরার কারণে পরকালে পুরস্কার পাবে। -অনুবাদক)
হিংসুক ব্যক্তি তার মৃত্যুর দিন পর্যন্ত বা অন্যদের সৌভাগ্য তাদের থেকে বিদায় না নেয়া পর্যন্ত প্রচণ্ড ক্রোধে জ্বলে পুড়ে শেষ হতে থাকবে। হিংসুক ব্যক্তি ছাড়া সকলের সাথেই মীমাংসা করা সম্ভব। কেননা, তার সাথে মীমাংসার জন্য যা প্রয়োজন তা হলো- আপনি আপনার থেকে আল্লাহর সব কল্যাণ ও করুণা দূর করবেন বা আপনার সকল প্রতিভা ও সদগুণ পরিত্যাগ করবেন। যদি আপনি এরূপ করেন তবে হয়তোবা সে সুখী হবে। আল্লাহর নিকট আমরা হিংসুকের ক্ষতি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করি। হিংসুক এমন এক বিষধর কালো সাপের মতো হয়ে যায়- যে সাপ একটি নির্দোষ দেহে এর বিষ ঢেলে না দেয়া পর্যন্ত কোন বিশ্রাম পায় না।
সুতরাং হিংসা থেকে বহু দূরে থাকুন এবং হিংসুক লোক থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করুন। কেননা, সে সর্বদা আপনাকে সতর্কভাবে লক্ষ্য করছে।