কোন ভুল থাকলে সেটি রিপোর্ট করার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন।
লগইন করুন
লগইন করুন
হজ উমরা ও যিয়ারত দশম অধ্যায়: বাংলাদেশ থেকে হজের সফর : প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ইসলামহাউজ.কম
মিনা, আরাফা ও মুযদালিফায়
- ৭ যিলহজ দিবাগত রাতে অথবা ৮ যিলহজ সকালে ইহরাম অবস্থায় মু‘আল্লিম কর্তৃক সরবরাহকৃত বাসে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। সাথে হালকা কিছু কাপড়-চোপড়, শুকনো খাবার ও সামান্য টাকা নেবেন। মূল্যবান জিনিসপত্র সাবধানে ঘরে রেখে যাবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে টাকা মু‘আল্লিম অফিসের কর্মকর্তার কাছে জমা রাখতে পারেন। তবে টাকা আমানত রেখে রসিদ নিতে ভুলবেন না। শক্ত-সবল এবং মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে অতিক্রম করায় অভ্যস্ত না হলে এবং নিজেদের তাবু না চিনলে মিনা আরাফায় পায়ে হেঁটে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না।
- আরাফার ময়দানে জাবালে আরাফায় উঠার চেষ্টা করবেন না এমনকি তার কাছে যাওয়ারও চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। আরাফায় হারিয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। হারিয়ে গেলে নিজ তাঁবুতে ফিরে আসা কঠিন। তাই নিজ তাঁবুতেই অবস্থান করুন।
- আরাফায় টয়লেট ব্যবহার করতে হলে কাউকে সাথে নিয়ে বের হোন। মুযদালিফাতেও টয়লেট ব্যবহারের প্রয়োজন হলে একই পন্থা অবলম্বন করুন।
- মিনা বা আরাফায় কখনো নিজের তাঁবু হারিয়ে ফেললে বাংলাদেশ হজ মিশনের তাঁবুতে পৌঁছার চেষ্টা করুন। সেখান থেকে কোন না কোন উপায়ে নিজ তাঁবুতে ফিরে আসার ব্যবস্থা হবে। আপনার হজ পালনে কোন সমস্যা হবে না।
- কঙ্কর মারার সময় কখনো পায়ের স্যান্ডেল খুলে গেলে অথবা হাত থেকে কঙ্কর পড়ে গেলে তা উঠাতে চেষ্টা করবেন না।
- নিজেরা কুরবানীর পশু যবেহ করার পরিকল্পনা করলে সবার পক্ষ থেকে সবল ও তরুণ ২/৩ জনকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়ে যবেহ করাবেন। তবে এ প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। তাই মক্কা মদীনায় যেকোনো ব্যাংকে অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের পক্ষ থেকে কুরবানী দিয়ে দেবেন। এ প্রক্রিয়াটি সহজ ও নিশ্চিত। সুতরাং অতি লোভনীয় অন্যসব প্রস্তাব বাদ দিয়ে এটাই বেছে নিন।