কোন ভুল থাকলে সেটি রিপোর্ট করার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন।
লগইন করুন
লগইন করুন
হজ উমরা ও যিয়ারত ষষ্ঠ অধ্যায় : হজের মূল পর্ব ইসলামহাউজ.কম
মুতা‘আজ্জেল হাজী সাহেবদের করণীয় (মুতা‘আজ্জেল বা দ্রুতপ্রস্থানকারী)
এদিন হাজীদের প্রধান কাজ হচ্ছে, জামরাতে কঙ্কর নিক্ষেপ। তাদেরকে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে পাথর মারার কাজটি সম্পন্ন করতে হবে :
- এগার তারিখের ন্যায় প্রথমে মসজিদুল খাইফ এর নিকটস্থ ছোট জামরায় পাথর মারতে হবে। পূর্ব বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে। কঙ্কর নিক্ষেপ শেষ করে কিছুটা সরে এসে কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করতে হবে।
- তারপর মধ্যম জামরায় পাথর মারতে হবে। পূর্বে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে। কঙ্কর নিক্ষেপ শেষ করে বাম দিকে সরে এসে কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করতে হবে।
- তারপর বড় জামরা তথা জামরাতুল-আকাবায় পাথর মারতে হবে। পূর্ববর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী ‘আল্লাহু আকবার’ বলে একে একে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে। কঙ্কর নিক্ষেপ শেষ করে এ স্থান ত্যাগ করতে হবে। এখানে কোন দো‘আ নেই।
- মুতা‘আজ্জেল হাজীদের জন্য এদিন মিনা থেকে সূর্যাস্তের পূর্বেই বের হয়ে যাওয়া অপরিহার্য। সূর্য অস্ত গেলে আর বের হবেন না। সেক্ষেত্রে মুতা’আখখের হাজীদের বিধান তার জন্য প্রযোজ্য হবে। সুতরাং তারা রাত্রিযাপন করবেন এবং পরের দিন কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। কারণ ইবন উমর রা. বলেন,
«مَنْ غَرَبَتْ لَهُ الشَّمْسُ مِنْ أَوْسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ وَهُوَ بِمِنًى فَلَا يَنْفِرَنَّ حَتَّى يَرْمِيَ الْجِمَارَ مِنْ الْغَدِ»ََََ.
‘আইয়ামে তাশরীকের মাঝামাঝির দিকে (১২ তারিখ) যে ব্যক্তি মিনায় থাকতে সূর্য ডুবে যায়, সে যেন পরদিন কঙ্কর নিক্ষেপ না করে (মিনা থেকে) প্রস্থান না করে।’[1]
- যদি দ্রুতপ্রস্থানকারী হাজীগণ বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং চেষ্টা করেছেন তারপরও কোন কারণে বের হতে পারেননি বা পথিমধ্যে সূর্য অস্ত গিয়েছে। তবে তারা অধিকাংশ আলিমের মতে মুতা‘আজ্জেল থাকবেন এবং বের হয়ে যেতে পারবেন। অনুরূপভাবে মুতা‘আজ্জেল হাজীগণ যদি মিনায় তাদের কোন সামগ্রী রেখে আসেন এবং সূর্যাস্তের পূর্বেই মিনা থেকে বের হয়ে যান, তাহলে তারাও ফিরে গিয়ে তা নিয়ে আসতে পারবেন। এ জন্য আর পরদিন থাকতে হবে না।
- এ কাজের মধ্য দিয়েই মুতা‘আজ্জেল হাজীগণ হজের কার্যাদি সমাপ্ত করবেন। অবশিষ্ট থাকল বিদায়ী তাওয়াফ। তার বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসছে।
[1]. মুআত্তা মালিক : ১/৪০৭।