লগইন করুন
এ দিনসমূহ যেমন ইবাদত-বন্দেগী, যিকর-আযকারের দিন তেমনি আনন্দ-ফূর্তি করার দিন। যেমন পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আইয়ামুত-তাশরীক হলো খাওয়া-দাওয়া ও আল্লাহর যিকরের দিন।’ এ দিনসমূহে আল্লাহ রাববুল আলামীনের দেয়া নিয়ামত নিয়ে আমোদ-ফূর্তি করার মাধ্যমে তার শুকরিয়া ও যিকর আদায় করা উচিত। আর যিকর আদায়ের কয়েকটি পদ্ধতি হাদীসে উল্লেখ হয়েছে :
(১) সালাতের পর তাকবীর পাঠ করা এবং সালাত ছাড়াও সর্বদা তাকবীর পাঠ করা। আর এ তাকবীর আদায়ের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ দেই যে, এ দিনগুলো আল্লাহর যিকরের দিন। আর এ যিকরের নির্দেশ যেমন হাজী সাহেবদের জন্য, তেমনি যারা হজ পালনরত নন তাদের জন্যও।
(২) কুরবানী ও হজের পশু যবেহ করার সময় আল্লাহ তা‘আলার নাম ও তাকবীর উচ্চারণ করা।
(৩) খাওয়া-দাওয়ার শুরু ও শেষে আল্লাহ তা‘আলার যিকর করা। আর এটা তো সর্বদা করার নির্দেশ রয়েছেই তথাপি এ দিনগুলোতে এর গুরুত্ব বেশি দেয়া। এমনিভাবে হজ সংশ্লিষ্ট সকল কাজ এবং সকাল-সন্ধ্যার যিকরগুলোর প্রতি যত্নবান হওয়া।
(৪) হজ পালন অবস্থায় কঙ্কর নিক্ষেপের সময় আল্লাহ তা‘আলার তাকবীর পাঠ করা।
(৫) এগুলো ছাড়াও যেকোন সময় এবং যেকোন অবস্থায় আল্লাহর যিকর করা।