কোন ভুল থাকলে সেটি রিপোর্ট করার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন।
লগইন করুন
লগইন করুন
হজ উমরা ও যিয়ারত তৃতীয় অধ্যায় : ইহরাম, হজ-উমরার শুরু ইসলামহাউজ.কম
কালবিষয়ক মীকাত সম্পর্কে কিছু বিধান ও সতর্কিকরণ
- কালবিষয়ক মীকাত কেবল হজের জন্য। উমরার জন্য কালবিষয়ক কোন মীকাত নেই। সারা বছরই উমরা করা যায়। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা সূরা বাকারার ১৯৭ নং আয়াতে হজের সময় নির্দিষ্ট করেছেন, উমরার কোন সময় নির্দিষ্ট করেননি। এছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজের মাসসমূহ ছাড়া অন্য মাসে উমরা পালনের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
«فَإِنَّ عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ تَقْضِي حَجَّةً أَوْ حَجَّةً مَعِي»
‘রমযানে উমরা করা হজ অথবা তিনি বলেছেন, আমার সাথে হজ করার সমতুল্য।’[1]
- হজের মাস শুরু হওয়ার আগে হজের ইহরাম সহীহ নয়। আল্লাহ তা‘আলা হজের মাসসমূহ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। ইহরাম যেহেতু হজেরই একটি আমল, তাই হজের সময়ের আগে এটি সহীহ হবেনা। কেউ যদি হজের মাস অর্থাৎ শাওয়ালের চাঁদ উদয়ের আগেই হজের ইহরাম বাঁধে তবে তার সে ইহরাম বিশুদ্ধ মতানুযায়ী হজের ইহরাম হবেনা, বরং তা উমরার ইহরাম হিসেবে গণ্য হবে। যেমন সালাতের ওয়াক্ত হওয়ার আগে কেউ সালাত আদায় করলে তা নফল হিসাবে গণ্য করা হয়।
- হজের কোন আমল উযর ছাড়া যিলহজ মাসের পরে পালন করা জায়েয নয়। যদি সঙ্গত উযর থাকে তবে ভিন্ন কথা। যেমন নিফাসবতী মহিলা যিলহজ মাসে পবিত্র না হলে তিনি তাওয়াফে ইফাযা অর্থাৎ ফরয তাওয়াফ যিলহজ মাসের পরে আদায় করতে পারবেন। আর কারো মাথায় জখম থাকলে তা ভালো হওয়া পর্যন্ত তিনি তার মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করা বিলম্বিত করতে পারবেন। অর্থাৎ যিলহজ মাসের পরেও করতে পারবেন।
[1]. বুখারী : ১৮৬৩; মুসলিম : ১২৫৬।