লগইন করুন
যখন কেউ জমা তা‘খীর বা দ্বিতীয় সালাতের সাথে দেরী করে জমা করে আদায় করার নিয়্যত করে সফর শুরু করার পর দেখল যে সে দ্বিতীয় সালাতটির সময় আসার আগেই বাড়ীতে ফিরে গেলো এমতাবস্থায় সে দ্বিতীয় সালাতটিকে প্রথম সালাতের সাথে মিলিয়ে আদায় করবে না, বরং প্রত্যেক সালাতকে তার নির্দিষ্ট সময়ে পূর্ণরূপে আদায় করে নিবে। (চার রাকা‘আত); যদিও সেখানে অবশিষ্ট সময় খুব সামান্যই হয়। কারণ কসর ও জমা করার মূল কারণ ছিল সফর, তা তো চলে গেছে।
এ ফতোয়াটির ভিত্তি হচ্ছে জমা তা‘খীর বা দেরী করে জমা করে আদায় করার ক্ষেত্রে প্রথম ওযরটিকে চলমান থাকার শর্ত অবশিষ্ট থাকার বাধ্য-বাধকতা আরোপ করা।
কিন্তু যদি কেউ জমা তা‘খীর বা দেরী করে পরবর্তী সালাতের সাথে আদায় করার নিয়তে সফরে বের হলো, কিন্তু যে স্থানের উদ্দেশ্যে সফর বের হয়েছে সেখানে গিয়ে দেখল যে এখনও প্রথম সালাতের সামান্য সময় বাকী আছে তারপর দ্বিতীয় সালাতের সময় প্রবেশ করবে, তখন কী করবে?
বস্তুত এখানে তার কয়েকটি অবস্থা থাকতে পারে:
প্রথম অবস্থা: যদি সে কোনো মসজিদে না থাকে তবে তার জন্য উত্তম হচ্ছে অপেক্ষা করা যাতে করে দ্বিতীয় সালাতের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তারপর সে দু’ সালাতকে জমা ও কসর করে একসাথে আদায় করবে। তবে যদি ভিন্ন ভিন্নভাবেও আদায় করে তাহলে তাও জায়েয।
দ্বিতীয় অবস্থা: যদি সে দ্বিতীয় সালাতের আযানের পরে কিন্তু সেটার ইকামতের পূর্বে মসজিদে প্রবেশ করে তাহলে সে প্রথমে কসর করে প্রথম সালাতটি আদায় করে নিবে তারপর দ্বিতীয় সালাতটি জামা‘আতের সাথে আদায় করবে।
তৃতীয় অবস্থা: যদি সে মসজিদে প্রবেশ করে দেখল যে লোকেরা দ্বিতীয় সালাত আদায় করছে এমতাবস্থায় তাদের সাথে প্রথম সালাতের নিয়্যত করে সালাতের জামা‘আতে প্রবেশ করবে, তারপর যেভাবে পূর্বে বর্ণিত হয়েছে সেভাবে আদায় করবে, অর্থাৎ উপরোক্ত ৬ নং প্রশ্নোত্তরের মত করে আদায় করবে।
আর যদি জমা তাকদীম বা অগ্রীম জমা করে নেওয়ার পরে এমন সময় নিজ শহরে প্রবেশ করল যে তখনও প্রথম সালাতের সময়ও বাকী আছে, এমতাবস্থায় সে কসর ও জমা করে যা আদায় করে নিয়েছে তা-ই তার জন্য বিশুদ্ধ হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। অর্থাৎ তাকে আর সেটা আদায় করতে হবে না।