লগইন করুন
যে হাদীস সাহাবীগণের যুগ থেকেই বহু সনদে বর্ণিত তাকে ‘‘মুতাওয়াতির’’ (recurrent; frequent) বা বহুমুখে বর্ণিত হাদীস বলা হয়। মূলত কুরআনের পাশাপাশি এরূপ হাদীসই আকীদার ভিত্তি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর উম্মাতকে বিশুদ্ধতম আকীদা ও আমল শিখিয়ে গিয়েছেন। আমলের ক্ষেত্রে বিকল্প আছে। সব মুসলিমের উপর ফরয কিছু কাজ ব্যতীত বিভিন্ন ফযীলতমূলক নেক কর্ম একটি না করলে অন্যটি করা যায়। কিন্তু আকীদার ক্ষেত্রে কোনো বিকল্প নেই। আকীদা সবার জন্য একই রূপে সর্বপ্রথম ফরয। যে বিষয়টি বিশ্বাস করা মুমিনের জন্য প্রয়োজন সে বিষয়টি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সকল সাহাবীকে সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষাতে জানিয়েছেন এবং সাহাবীগণও এভাবে তাবিয়ীগণকে জানিয়েছেন। এতে আমরা বুঝতে পারি যে, আকীদার বিষয় সুস্পষ্টভাবে কুরআনে অথবা মুতাওয়াতির হাদীসে বর্ণিত।
দু-একজন সাহাবী থেকে বর্ণিত হাদীসকে ‘আহাদ’ বা ‘‘খাবারুল ওয়াহিদ’’ অর্থাৎ একক হাদীস বলা হয়। ইমাম আবূ হানীফাসহ প্রথম দু শতাব্দীর সকল ইমাম, ফকীহ ও মুহাদ্দিসের দৃষ্টিতে ‘মুতাওয়াতির’ ও ‘আহাদ’ উভয় প্রকার সহীহ হাদীসই আকীদার ভিত্তি ও উৎস হিসেবে গৃহীত। এ বিষয়ে ইমাম আবূ হানীফার একাধিক বক্তব্য আমরা দেখেছি এবং আরো দেখব। এক্ষেত্রে পার্থক্য হলো, মুতাওয়াতির হাদীস দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকার করলে তা কুফর বলে গণ্য আর ‘আহাদ’ পর্যায়ের হাদীস দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকার করা বিভ্রান্তি ও পথভ্রষ্টতা বলে গণ্য করা হয়।