লগইন করুন
ঋতু বন্ধ করার জন্য ঔষধ (ট্যাবলেট) ব্যবহার করলে স্বাস্ত্যগত দিক থেকে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকলে, তাতে কোন অসুবিধা নেই। তবে তাতে স্বামীর অনুমতি থাকতে হবে। কিন্তু এযাবত আমি যা জেনেছি তাতে এ সমস্ত ঔষধ নারীর জন্য ক্ষতিকারক। একথা সবার জানা যে, মাসিকের রক্ত প্রবাহিত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আর সময় মত স্বাভাবিক বিষয়ের গতিতে বাধা দিলে সেখানে অবশ্যই ক্ষতির আশংকা থাকে। নারীর শরীরে তার ক্ষতিকর প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া ইহা ব্যবহার করলে অনেক সময় নারীর স্বাভাবিক মাসিক বাধাগ্রস্ত হয় এবং সে পেরেশানী ও সন্দেহের মধ্যে পতিত হয়। নামায-রোযা ও স্বামীর সাথে সহবাসের ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখিন হয়।
এ জন্য আমি বলিনা যে এটা হারাম। কিন্তু নারীর ক্ষতির দিক চিন্তা করে বলি, এটা ব্যবহার করা উচিৎ নয়। আমার মতে এ পদক্ষেপ পসন্দনীয় নয়।
আরো বলি, আল্লাহ নারীর জন্য যা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তাতেই তার সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। বিদায় হজ্জে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মুল মু’মেনীন আয়েশা (রাঃ)এর ঘরে গিয়ে দেখেন তিনি কাঁদছেন। তখন আয়েশা (রাঃ) ওমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন।
فَقَالَ مَا يُبْكِيكِ قُلْتُ لَوَدِدْتُ وَاللَّهِ أَنِّي لَمْ أَحُجَّ الْعَامَ قَالَ لَعَلَّكِ نُفِسْتِ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ ذَلِكِ شَيْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ
তিনি তাঁকে বললেন, “কি হয়েছে তোমার, কাঁদছো কেন? আয়েশা (রাঃ) বললেন, আমি বললাম, আল্লাহর শপথ এ বছর আমি হজ্জ না করলেই ভাল হত। তিনি বললেন, সম্ভবতঃ তুমি ঋতুবতী হয়ে গেছো? আমি বললাম, হ্যাঁ। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটা এমন এক বিষয় যা আল্লাহ তা’আলা আদম সন্তানের মেয়েদের জন্য লিখে দিয়েছেন। (সুতরাং দুঃখ করার কিছু নেই।) অতএব নারীর উচিৎ হচ্ছে, এ সময় ধৈর্য ধারণ করা। ঋতুর কারণে ছালাত-ছিয়াম করতে না পারলে তো আল্লাহর যিকিরের দরজা উম্মুক্ত রয়েছে। তাসবীহ-তাহলীল করবে, দান্তসাদকা করবে, মানুষের সাথে সদাচরণ করবে, কথা-কাজে মানুষের উপকার করার চেষ্টা করবে, ইত্যাদি কাজ তো সুন্দর ও অত্যাধিক ফযীলতপূর্ণ আমল।