লগইন করুন
সকল প্রতিকূলতার মধ্যেও সুন্নাতে নববী ও সুন্নাতে সাহাবার আলোকে আল্লাহর পথে দাওয়াতের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দাওয়াতের ক্ষেত্রে যে সকল সাধারণ ভুলত্রুটি উগ্রতা ও অসহিষ্ণুতা ছড়াতে পারে তা সচেতনতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এগুলির অন্যতম হলো দাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার কারণে বিরোধীদেরকে কাফির, ইসলামের শত্রু বা অনুরূপ বিশেষণে আখ্যায়িত করার প্রবণতা।
বস্ত্তত সমাজকে, সমাজের নেতৃবৃন্দকে বা আলিমগণকে ঘৃণা না করে কেউ সন্ত্রাসী, চরমপন্থী বা জঙ্গি কর্মে লিপ্ত হতে পারে না। আর আলিম-উলামা, পীর-মাশাইখ ও দীনের দাওয়াতে কর্মরত অনেকেই জেনে অথবা না জেনে এরূপ ঘৃণা ছড়াচ্ছেন।
‘‘তাকফীর’’ বা কাফির কথন আমাদের সমাজে বিভিন্নভাবে বিদ্যমান। আমাদের অনেকে খারিজী, মুতাযিলী ও অন্যান্য বিভ্রান্ত ফিরকার ন্যায় দ্ব্যর্থবোধক বক্তব্য, মতামত, মতভেদীয় বিষয় বা মুসতাহাব-মাকরূহ বিষয়াদিকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা ব্যাখ্যা দিয়ে কুফরী বলে প্রমাণের চেষ্টা করছেন। দলগত, পদ্ধতিগত বা মাসআলাগত মতভেদে বা কর্মপদ্ধতির ভিন্নতার কারণে একে অপরকে ‘‘ইসলামের শত্রু’’, ‘‘শত্রুদের দালাল’’, ‘‘ইহূদী-খৃস্টানদের এজেন্ট’’, ‘‘নবী-ওলীগণের দুশমন’’, ইত্যাদি বলে পারস্পারিক ঘৃণা উস্কে দিচ্ছেন। এ সবই ‘‘তাকফীর’’ বা কাফির কথনের বিভিন্ন রূপ। এসবই ধর্মীয় উগ্রতা উস্কে দিচ্ছে।
দলগত, পদ্ধতিগত বা মাসআলাগত মতভেদের কারণে ‘‘ইসলামের শত্রু’’, ‘শত্রুদের দালাল’ বা অনুরূপ কোনো বিশেষণে আখ্যায়িত করা বর্জন করতে হবে। কোনো আলিম বা ইসলামী ব্যক্তিত্ব আপনার মতের বিরোধিতা করলে, আপনার সাথে শত্রুতা করলে বা আপনার বিরুদ্ধে ফাতওয়া দিলে আপনি তাকে ইসলামের শত্রু বলে গণ্য করবেন না। বরং বিষয়টিকে তার ইজতিহাদ ও ভুল বলে গণ্য করে হৃদয়ে তার ভালবাসা, কর্মে তার সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ ও তার জন্য দুআ অব্যাহত রাখুন। আল্লাহ বলেছেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَوْمٌ مِنْ قَوْمٍ عَسَىٰ أَنْ يَكُونُوا خَيْرًا مِنْهُمْ وَلَا نِسَاءٌ مِنْ نِسَاءٍ عَسَىٰ أَنْ يَكُنَّ خَيْرًا مِنْهُنَّ وَلَا تَلْمِزُوا أَنْفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ وَمَنْ لَمْ يَتُبْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
‘‘হে মুমিনগণ, কোনো সম্প্রদায় যেন অপর সম্প্রদায়কে উপহাস-বিদ্রূপ না করে; হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম। কোনো নারী যেন অন্য নারীকে বিদ্রূপ-উপহাস না করে; হতে পারে সে বিদ্রূপকারিনী অপেক্ষা উত্তম। আর তোমরা একে অপরকে নিন্দা করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ উপাধি দিয়ে ডেকো না। ঈমানের পর পাপী নাম পাওয়া খুবই খারাপ বিষয়। আর যারা তাওবা করে না তারাই যালিম।’’[1]
এ নির্দেশনা কার জন্য? আল্লাহর এ নির্দেশ কি পারস্পরিক (reciprocal)? অর্থাৎ যে আমাকে ভাল বলবে আমি তাকে ভাল বলব? নাকি এ নির্দেশ পালন আমার-আপনার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব? অন্যরা আপনাকে উপহাস-বিদ্রুপ করে, নিন্দা করে বা মন্দ উপাধি দেয় বলে আপনিও তাদেরকে অনুরূপ করবেন? এরূপ কোনো অনুমতি কি আল্লাহ দিয়েছেন? কেউ পালন করুক আর না করুক, আমি সর্বাবস্থায় আল্লাহর এ সকল নির্দেশ পালন করব-এরূপ সিদ্ধান্ত কি আমরা নিতে পারি না? অনেক মুসলিম অজ্ঞতা বা জাগতিক স্বার্থের কারণে দীনী দাওয়াতের বিরোধিতা করেন। তারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে বিশ্বাস করেন, ইসলামের কিছু বিধান পালন করেন, কিন্তু আল্লাহর পথে আহবানকারীদের মতামতকে ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি বলে মনে করেন। যেমন, অনেকে সালাতুল ঈদ, সালাতুল জানাযা, শবে-বরাতের সালাত ইত্যাদি আদায় করেন, কুরবানী, আকীকা, কুলখানী ইত্যাদি পালন করেন, কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়ের বিষয়ে বা পর্দাপালন, সুদ-বর্জন, নৃত্যগীতি-বর্জন ইত্যাদি বিষয়ে কড়াকাড়িকে ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি বলে মনে করেন। তাদের এ অজ্ঞতার জন্য তাদের নিজেদের অবহেলার পাশাপাশি যুগযুগ ধরে সমাজের সাধারণ আলিমগণের দীন প্রচারের ক্ষেত্রে অবহেলা ও দুর্বলতাও দায়ী।
এদের বিরোধিতার কারণে আল্লাহর পথে আহবানকারীরা এদেরকে বিভিন্ন ভাবে ‘‘তাকফীর’’ করেন। তাদেরকে ‘কাফির’, ‘কাফির পর্যায়ের’ বা ‘ইসলামের শত্রু’ আখ্যায়িত করে কঠিনভাবে তাদের বিরুদ্ধে আক্রোশমূলক কথা বলেন। নামায-রোযা পালন করলেও তাদের কোনো লাভ হবে না বলে দাবি করেন। কালিমা পড়ে এবং নামায-রোযা পালন করেও তারা কাফির বা কাফির পর্যায়ের থাকবে বলে ঘোষনা করেন!! এরূপ আচরণ ও কথাবার্তা বিভিন্নভাবে সহিংসতা ছড়ায়। এগুলিকে হালকা করে দেখার কোনো উপায় নেই। কারণ এরূপ একটি উগ্রতা পরবর্তী অনেক উগ্রতার পথ খুলে দেয়।
আল্লাহর নির্দেশানুসারে খারাপের মুকাবিলায় উত্তম দিয়ে, সুন্দর উপদেশ, প্রজ্ঞা এবং উত্তম বিতর্কের মাধ্যমে তাদের বিভ্রান্তি চিহ্নিত করুন, এরূপ বিভ্রন্তি যে কুফরীতে নিপতিত করতে পারে তা বুঝান এবং তাদেরকে দীনের সঠিক জ্ঞান প্রদানের চেষ্টা করুন। কিন্তু কখনোই ‘‘ইসলামের শত্রু’’ ইত্যাদি বলে ‘‘তাকফীরের’’ মত কঠিন পাপের মধ্যে নিপতিত হবেন না। এদের অনেকেই ‘‘দায়ী’’ বা প্রচারকের ‘‘গরম’’ ও আক্রমনাত্মক কথা ও আচরণের কারণেই দাওয়াতের বিরোধিতা করেন। আর ‘‘দায়ী’’ নিজেকে ইসলামের প্রতিভূ বিবেচনা করে তার বা তার মতের সাথে শত্রুতার কারণে মুসলিমকে ইসলামের শত্রু বানিয়ে দেন। এভাবে উগ্রতার দরজা খুলে যায়।
আল্লাহ ‘হক্ক’ কথা বলতে নির্দেশ দিয়েছেন কিন্ত ‘গরম’ কথা বলতে নির্দেশ দেননি। হক্ক কথাকে নরম করে বলতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম তাগূত খোদাদ্রোহী জালিম ফিরাউনের কাছে মূসা ও হারূন (আঃ) কে প্রেরণ করে তিনি নরম কথার নির্দেশ দিয়ে বলেন:
اذْهَبَا إِلَىٰ فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَىٰ فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا لَعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَىٰ
‘‘তোমর উভয়ে ফিরাউনের নিকট গমন কর, সে অবাধ্যতা ও সীমালংঘন করেছে। তোমরা তার সাথে নরম কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে বা ভয় করবে।’’[2]
এ যদি হয় কাফিরকে আদেশ-নিষেধের ক্ষেত্রে নবী-রাসূলগণের প্রতি নির্দেশ, তাহলে যারা কালিমা পড়েছেন, মুসলিম বলে নিজেকে মনে করছেন তাদেরকে আদেশ নিষেধ করার ক্ষেত্রে আমাদের আরো কত বিনম্র ও বন্ধুভাবাপন্ন হওয়া উচিত তা একটু চিন্তা করুন। আল্লাহ আরো বলেন:
وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ فَيَسُبُّوا اللَّهَ عَدْوًا بِغَيْرِ عِلْمٍ
‘‘তারা আল্লাহকে ছেড়ে যাদের ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিবে না; কারণ ফলে তারা সীমালঙ্ঘন করে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিবে।’’[3]
এ যদি হয় কাফিরদের পূজনীয়দের ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশ, তাহলে মুসলিমকে আদেশ-নিষেধ করতে যেয়ে তাকে, তার ভ্রান্ত বা জাগতিক মতের নেতা বা সাথীদেরকে গালি দেওয়া কিভাবে বৈধ হবে? আল্লাহ বলেন:
وَلَا تُجَادِلُوا أَهْلَ الْكِتَابِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِلَّا الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْهُمْ
‘‘এবং তোমরা উত্তম আচরণে ছাড়া অন্যান্য গ্রন্থের অনুসারীদের সাথে বিতর্ক করো না; তাদের মধ্যে যারা জুলুম করেছে তাদের সাথে ছাড়া।’’[4]
ইহূদী-খৃস্টানগণ ‘‘কিতাব’’ মানার দাবি করেছে, কিন্তু কখনোই মানে নি, বরং উল্টো চলেছে এবং কিতাব বিকৃত করেছে বলে আল্লাহই জানিয়েছেন, তারপরও তাদের সাথে এরূপ উত্তম আচরণের নির্দেশ দিলেন আল্লাহ। তাহলে যে ব্যক্তি কুরআন মানার দাবি করছেন, কিন্তু মানছেন না বলে আপনি দাবি করছেন, তার সাথে আপনার আচরণ কিরূপ হওয়া দরকার? দীন প্রতিষ্ঠার কর্মে নিয়োজিত সকলকেই বুঝতে হবে যে, আমরা ‘‘আল্লাহর পথে দাওয়াত’’ নামক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত পালন করছি। এ ইবাদত যদি কুরআন-সুন্নাহর শেখানো পদ্ধতিতে সুন্নাত-সম্মত পন্থায় পালন করতে পারি, তবে আমরা অভাবনীয় সাওয়াব অর্জন করতে পারব। বিশেষত কুফর, ইলহাদ, ব্যক্তিমতপূজা, স্বার্থপরতা ও অবক্ষয়ের যুগে দাওয়াত ও আদেশ-নিষেধের দায়িত্ব পালন খুবই বড় কাজ। এ পরিস্থিতিতে সুন্নাতপদ্ধতিতে দাওয়াতের দায়িত্ব পালনকারী একজন মুমিন ৫০ জন সাহাবী বা সিদ্দীকের সাওয়াব লাভ করবেন বলে সহীহ হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে।[5] কিন্তু আমরা যদি এ ইবাদত কুরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত পদ্ধতির ব্যতিক্রমভাবে পালন করি বা আমাদের প্রবৃত্তি ও প্রতিশোধস্পৃহার তাড়নায় উগ্রতায় লিপ্ত হই তাহলে আমরা কঠিন পাপে নিপতিত হওয়ার পাশাপাশি ইসলাম ও দীনী দাওয়াতকে কলঙ্কিত করব এবং প্রকৃত অর্থে আমরাই আল্লাহর কাছে ‘‘ইসলামের শত্রু’’ বলে গণ্য হব। নাউযূ বিল্লাহ মিন যালিকা! মুমিনের আচরণ ও প্রকৃতি বর্ণনা করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
المُؤمِنُ يألَفُ ويُؤلَفُ ولا خيرَ فيمَنْ لا يألَفُ ولا يُؤلَفُ
‘‘মুমিন ঐ ব্যক্তি যে নিজে অন্যদেরকে ভালবাসে এবং অন্যেরাও তাকে ভালবাসে। যে ব্যক্তি নিজে অন্যদের ভালবাসে না এবং অন্যরাও তাকে ভালবাসে না তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।’’[6]
মুমিনের এ প্রকৃতি কাদের জন্য? যারা তার দলের, মতের বা তাকে ভক্তি করে তাদের জন্য? না জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য?
দেশের প্রায় ৯০% মুসলিম দীন সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা রাখেন না। তারা ইসলাম বলতে যা বুঝেন তা তারা পালন ও প্রতিষ্ঠা করেন। তাদেরকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করা আলিম ও দায়ীগণের দায়িত্ব। কষ্ট করে দীনের দাওয়াত না দিয়ে আপনি রাতারাতি ইসলাম কায়েম করতে চান? পাপের কারণে আপনি পাপীদেরকে মেরে কমিয়ে ফেলতে চান? অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাফিরদেরকে বাঁচাতে উদগ্রীব ছিলেন, হয়ত তাদের পরবর্তী প্রজন্মদের মধ্য থেকে কেউ মুসলিম হবে। মক্কাবাসীদের অত্যাচারে জর্জরিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তায়েফে যেয়ে পেলেন নির্মমতম অত্যাচার। সে সময়ে জিবরাঈল (আঃ) পাহাড়ের ফিরিশতাকে নিয়ে তাঁর নিকট আগমন করে বলেন, আপনার অনুমতি হলে পাহাড় উঠিয়ে এ সকল জনপদ ধ্বংস করে দেওয়া হবে। কঠিনতম কষ্টের সে
মুহুর্তেও তিনি বলেন,
بل أرجو أن يخرجَ اللهُ من أصلابهم من يعبد اللهَ وحده، لا يشركُ به شيئًا
‘‘না। বরং আমি আশা করি যে, আল্লাহ হয়ত এদের ঔরস থেকে এমন মানুষের জন্ম দেবেন যারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কিছু শরিক করবে না।’’[7] যে কাফিরগণ তাঁর দেহকে রক্তরঞ্জিত করছে তাদেরই জন্য তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন, যেন তাঁকে আঘাতের কারণে আল্লাহ তাদের ধ্বংস না করেন। তিনি তাঁর কপালের রক্ত মুছছেন এবং বলছেন,
ربِّ اغفرْ لقومي فإنهم لا يعلمونَ
‘‘হে আমার প্রতিপালক, আমার জাতিকে আপনি ক্ষমা করে দিন, কারণ তারা জানে না।’’[8]
[2] সূরা তাহা ৪৩-৪৪ আয়াত।
[3] সূরা আন’আমের ১০৮ আয়াত।
[4] সূরা (২৯) আনকাবুত: ৪৬ আয়াত।
[5] আবু দাউদ, আস-সুনান ৪/১২৩, ইবনু মাজাহ, আস-সুনান ২/১৩৩০; তিরমিযী, আস-সুনান ৫/২৫৭; আলবানী, সহীহাহ ১/৮১২।
[6] আলবানী, সহীহুল জামি’ ২/১১৩০-১১৩১। হাদিসটি হাসান।
[7] বুখারী, আস-সহীহ ৩/১১৮০; মুসলিম, আস-সহীহ ৩/১৪২০।
[8] বুখারী, আস-সহীহ ৩/১২৮২, ৬/২৫৩৯; মুসলিম, আস-সহীহ ৩/১৪৪৭; ইবনু হিব্বান, আস-সহীহ ৩/২৫৪; ইবনু হাজার আসকালানী, ফাতহুল বারী ৬/৫২১, ৭/৩৭২-৩৭৩, ৮/৫০৮, ১১/১৯৬, ১২/২৮২।