লগইন করুন
মদীনার হারাম এলাকার কোন গাছ কাটা, শিকার তাড়ানো এবং তাতে কোন বিদ্‘আত করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
الـْمَدِيْنَةُ حَرَامٌ مَا بَيْنَ عَائِرَ إِلَى ثَوْرٍ، لَا يُخْتَلَى خَلَاهَا، وَلَا يُنَفَّرُ صَيْدُهَا، وَلَا تُلْتَقَطُ لُقَطَتُهَا إِلاَّ لِمَنْ أَشَادَ بِهَا، وَلَا يَصْلُحُ لِرَجُلٍ أَنْ يَحْمِلَ فِيْهَا السِّلَاحَ لِقِتَالٍ، وَلَا يَصْلُحُ أَنْ يُقْطَعَ مِنْهَا شَجَرَةٌ إِلاَّ أَنْ يَعْلِفَ رَجُلٌ بَعِيْرَهُ.
‘‘মদীনার ‘আয়ির পাহাড় থেকে সাউর পাহাড় পর্যন্ত হারাম এলাকা। সেখানকার (কারোর কোন পরিশ্রম ছাড়া নিজে জন্মানো) কোন উদ্ভিদ কাটা যাবে না, কোন শিকার তাড়ানো যাবে না, কোন হারানো জিনিস উঠানো যাবে না। তবে কোন ব্যক্তি যদি তা প্রচার বা বিজ্ঞপ্তির উদ্দেশ্যে উঠায় তা হলে তাতে কোন অসুবিধে নেই। সেখানে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে কারোর জন্য অস্ত্র বহন করাও জায়িয নয়। তেমনিভাবে সেখানকার কোন গাছ কাটাও জায়িয নয়। তবে কোন ব্যক্তি যদি তার উটকে ঘাস খাওয়াতে চায় তা হলে তাতে কোন অসুবিধে নেই।
(আবূ দাউদ ২০৩৪, ২০৩৫)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
الْـمَدِيْنَةُ حَرَمٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ إِلَى ثَوْرٍ، فَمَنْ أَحْدَثَ فِيْهَا حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْـمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ، لَا يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا.
‘‘মদীনার ‘আইর পাহাড় থেকে সাউর পাহাড় পর্যন্ত হারাম এলাকা। কেউ তাতে কোন বিদ্‘আত করলে অথবা কোন বিদ্‘আতীকে আশ্রয় দিলে তার উপর আল্লাহ্ তা‘আলা, সকল ফিরিশ্তা ও সকল মানুষের লা’নত পতিত হবে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা‘আলা তার কোন ফরয ও নফল ইবাদত গ্রহণ করবেন না’’।
(মুসলিম ১৩৭০; আবূ দাউদ ২০৩৪)
‘আস্বিম আল-আ’হ্ওয়াল (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি একদা আনাস্ (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি মদীনা শরীফকে হারাম করেছেন? তিনি বললেন: হ্যাঁ, তা হারাম।
لَا يُخْتَلَى خَلَاهَا، فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْـمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ.
‘‘সেখানকার (কারোর কোন পরিশ্রম ছাড়া নিজে জন্মানো) কোন উদ্ভিদ কাটা যাবে না। কেউ কাটলে তার উপর আল্লাহ্ তা‘আলা, সকল ফিরিশ্তা ও সকল মানুষের লা’নত পতিত হবে’’। (মুসলিম ১৩৬৭)
কেউ কাউকে তাতে গাছ কাটা অথবা শিকার করা অবস্থায় ধরতে পারলে তার জন্য উক্ত ব্যক্তির সাথে থাকা সকল বস্ত্ত ছিনিয়ে নেয়া হালাল হবে।
সুলাইমান বিন্ আবূ আব্দুল্লাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি সা’দ্ বিন্ আবী ওয়াক্বাস্ (রাঃ) কে মদীনার হারাম এলাকায় শিকাররত জনৈক গোলামকে ধরে তার সকল পোশাক-পরিচ্ছদ ছিনিয়ে নিতে দেখেছি। অতঃপর তার মালিক পক্ষ সা’দ্ (রাঃ) এর সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হারাম এলাকাকে হারাম করে দিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন:
مَنْ أَخَذَ أَحَدًا يَصِيْدُ فِيْهِ فَلْيَسْلُبْهُ ثِيَابَهُ.
‘‘কেউ কাউকে এ হারাম এলাকায় শিকাররত অবস্থায় ধরতে পারলে সে যেন তার সকল পোশাক-পরিচ্ছদ ছিনিয়ে নেয়’’।
(আবূ দাউদ ২০৩৭)
সা’দ্ (রাঃ) বলেন: সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আমার জন্য হালাল করেছেন তা আমি ফেরত দেবো না। তবে তোমরা চাইলে আমি এর মূল্য পরিশোধ করতে পারি।
সা’দ্ (রাঃ) এর গোলাম থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: একদা সা’দ্ (রাঃ) মদীনার কিছু গোলামকে হারাম এলাকার গাছ কাটতে দেখেন। অতঃপর তিনি তাদের আসবাবপত্র ছিনিয়ে নেন। এ ব্যাপারে তাদের মালিক পক্ষ তাঁর সাথে কথা বললে তিনি বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মদীনার যে কোন গাছ কাটতে নিষেধ করতে শুনেছি এবং তিনি বলেন:
مَنْ قَطَعَ مِنْهُ شَيْئًا فَلِمَنْ أَخَذَهُ سَلَبُهُ.
‘‘কেউ কাউকে মদীনার হারাম এলাকার কোন গাছ কাটা অবস্থায় ধরতে পারলে তার সমূহ আসবাবপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অধিকার রয়েছে’’। (আবূ দাউদ ২০৩৮)