লগইন করুন
অমূলকভাবে কোন নেককার ব্যক্তিকে রাগান্বিত করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
‘আয়িয বিন্ ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা আবূ সুফিয়ান নিজ দলবল নিয়ে সালমান, সুহাইব ও বিলাল (রাঃ) এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। তখন তাঁরা আবূ সুফিয়ানকে উদ্দেশ্য করে বললেন: আল্লাহ্ তা‘আলার কসম! আল্লাহ্’র তরবারি এখনো তাঁর এ শত্রুর গর্দান উড়িয়ে দেয়নি। তখন আবূ বকর (রাঃ) তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন: তোমরা কুরাইশ নেতার ব্যাপারে এমন কথা বলতে পারলে?! অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ঘটনাটি জানানো হলে তিনি বললেন:
يَا أَبَا بَكْرٍ! لَعَلَّكَ أَغْضَبْتَهُمْ، لَئِنْ كُنْتَ أَغْضَبْتَهُمْ لَقَدْ أَغْضَبْتَ رَبَّكَ.
‘‘হে আবূ বকর! সম্ভবত তুমি তাদেরকে রাগিয়ে দিলে! যদি তুমি তাদেরকে রাগান্বিত করে থাকো তা হলে যেন তুমি আল্লাহ্ তা‘আলাকে রাগান্বিত করলে’’। (মুসলিম ২৫০৪)
অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) তাঁদের নিকট এসে বললেন: হে আমার ভাইয়েরা! আমি তো তোমাদেরকে রাগিয়ে দিয়েছি। তাঁরা বললেন: না, হে আমাদের শ্রদ্ধেয় ভাই! বরং আমরা আপনার জন্য আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট দো‘আ করছি তিনি যেন আপনাকে ক্ষমা করে দেন।
বর্তমান যুগে পরিস্থিতি আরো অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। এখন তো রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, খেলাধুলা, গানবাদ্য ইত্যাকার যে কোন বিষয় এমনকি সাধারণ ছুতানাতা নিয়েও একে অপরের সাথে তর্কবিতর্ক করে পরস্পর গালাগালি, হাতাহাতি এমনকি একে অপরকে হত্যা করতেও সচরাচর দেখা যায়। কখনো কখনো তো পরিস্থিতি এমন পর্যায়েও দাঁড়ায় যে, সমাজে পরিচিত তথাকথিত বহু পাক্কা নামাযীকেও একজন কাফির বা ফাসিককে নিয়ে পক্ষ বিপক্ষ সৃষ্টি করে তর্কবিতর্ক করতে দেখা যায়।