লগইন করুন
৩৪. গুনাহ্ গুনাহ্গারের অন্তরের সুস্থতার পরিবর্তে অসুস্থতা এবং স্থিরতার পরিবর্তে স্খলন বাড়িয়ে দেয়। বাহ্যিক রোগ যেমন শরীরকে অসুস্থ করে তেমনিভাবে গুনাহ্ও অন্তরকে অসুস্থ করে। আর এ রোগের চিকিৎসা একমাত্র গুনাহ্ পরিত্যাগ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ঠিক এরই বিপরীতে যে নিজ প্রবৃত্তিকে দমন করতে পেরেছে সে যেমন পরকালে আল্লাহ্ চায় তো জান্নাতে থাকবে তেমনিভাবে এ দুনিয়াতেও সে জান্নাতে। কবরের জীবনেও সে জান্নাতে। কোন শান্তিকেই এ শান্তির সাথে তুলনা করা যায় না। বরং অন্য শান্তির তুলনা এ শান্তির সাথে এমন যেমন দুনিয়ার শান্তির সাথে আখিরাতের শান্তির তুলনা। আর সবারই এ কথা জানা যে, এতদুভয়ের মাঝে কোন তুলনাই হয় না। এ ব্যাপার শুধু ভুক্তভোগী ছাড়া আর কেউই অনুভব করতে পারবে না।
যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা‘আলা ছাড়া অন্য কোন বস্ত্ত বা ব্যক্তিকে ভালোবাসে সে এ দুনিয়াতে তিন প্রকারের শাস্তি ভোগ করে। সে জিনিস পাওয়ার আগে তা পাচ্ছে না বলে মানসিক শাস্তি, তা পাওয়ার পর হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কাগত শাস্তি এবং তা হাতছাড়া হয়ে গেলে বিরহের শাস্তি। কবরের জীবনেও তার জন্য অনেকগুলো শাস্তি রয়েছে। দুনিয়ার ভোগ-বিলাস থেকে বঞ্চিত হওয়ার শাস্তি, তা আর কখনো ফিরে আসবে না বলে আপসোসের শাস্তি এবং আল্লাহ্ তা‘আলার রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার শাস্তি। সুতরাং চিন্তা, আশঙ্কা ও আফসোস তার অন্তরকে সেখানে এমনভাবে ক্লান্ত করে তুলবে যেমনিভাবে কিড়া-মাকড় তার শরীরকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলবে। আর জাহান্নামে তো তার জন্য হরেক রকমের শাস্তি রয়েছেই। যার কোন ইয়ত্তা নেই।