লগইন করুন
২৪. গুনাহ্’র কারণেই পৃথিবীতে ভূমিধস ও ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। এমনকি ভূমি থেকে বরকত একেবারেই উঠে যায়।
এ কথা কারোর অজানা নয় যে, ইতিপূর্বে এখনকার চাইতেও ফলমূল আরো বড় ও আরো সুস্বাদু হতো। এমনকি হাজরে আস্ওয়াদ একদা সূর্যের ন্যায় জ্বলজ্বলে এবং সাদা ছিলো। অথচ মানুষের গুনাহ্’র কারণেই তা আজ আস্ওয়াদ বা কালো। সুতরাং বুঝা গেলো, গুনাহ্’র প্রভাব সকল বস্ত্তর উপরই পড়ে। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সামূদ্ সম্প্রদায়ের এলাকায় পৌঁছুলেন তখন তিনি সাহাবাদেরকে তাদের কুয়া থেকে পানি পান ও তা সংগ্রহ করতে নিষেধ করেছেন। এমনকি গুনাহ্’র প্রভাব মানুষের উপরও পড়ে। যার দরুন কোন কোন আলিমের ধারণা মতে মানুষ দিন দিন খাটো হতে চলছে।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
خَلَقَ اللهُ آدَمَ وَطُوْلُهُ سِتُّوْنَ ذِرَاعًا. فَلَمْ يَزَلِ الْـخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الْآنَ.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন। তখন তিনি ছিলেন ষাট হাত লম্বা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মানুষ খাটো হতেই চলছে’’। (বুখারী ৩৩২৬; মুসলিম ২৮৪১)
তবে কিয়ামতের পূর্বে আবারো যখন ঈসা (আঃ) দুনিয়াতে অবতরণ করে বিশ্বের বুকে পুরো শরীয়ত বাস্তবায়ন করবেন তখন আবারো আকাশ থেকে বরকত নেমে আসবে। তখন এক আনারের খোসার ছায়া দশ থেকে চল্লিশ জন মানুষ গ্রহণ করতে পারবে এবং তা সকলের খাদ্যের জন্যও যথেষ্ট হবে। আঙ্গুরের একটি ছড়া একটি উটের বোঝাই হবে।