লগইন করুন
তাইমায়াবাসীগণের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের পর নাবী কারীম (ﷺ) মদীনা প্রত্যাবর্তনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। প্রত্যাবর্তনকালে লোকজনেরা একটি উপত্যকার নিকট পৌঁছে সকলে উচ্চৈঃস্বরে বলতে থাকেন (اللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ، لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ) ‘আল্লাহ আকবর, আল্লাহ আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। তা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, (إِرْبَعُوْا عَلٰى أَنْفُسِكُمْ، إِنَّكُمْ لاَ تَدْعُوْنَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا، إِنَّكُمْ تَدْعُوْنَ سَمِيْعًا قَرِيْبًا) ‘স্বীয় আত্মার প্রতি কোমলতা প্রদর্শন কর। তোমরা কোন বধির কিংবা অনুপস্থিতকে আহবান করছ না, বরং সে সত্তাকে আহবান করছ যিনি শ্রবণ করছেন এবং নিকটে রয়েছেন।[1]
পথ চলার সময় একবার রাত্রি বেলা দীর্ঘ সময় যাবত চলার পর রাত্রির শেষভাগে পথের মধ্যে কোন এক জায়গায় শিবির স্থাপন করলেন এবং শয্যা গ্রহণের সময় বিলাল (রাঃ)-কে এ বলে তাগাদা দিয়ে রাখলেন যে, ‘রাত্রিতে আমাদের প্রতি খেয়াল রেখ (অর্থাৎ প্রত্যুষে আমাদের জাগিয়ে দিও)।’ কিন্তু বিলাল (রাঃ) ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তিনি পূর্ব দিকে মুখ করে নিজ সওয়ারীর উপর হেলান দিয়ে বসেছিলেন এবং সে ভাবেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত্রি শেষে সকলের গায়ে রোদের অাঁচ লাগলেও কেউই ঘুম থেকে জাগতে পারেননি। রাসূলুল্লাহ সর্ব প্রথম ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং সকলকে ঘুম থেকে জাগ্রত করেন। নাবী (ﷺ) সে উপত্যকা হতে বাহির হয়ে সামনের দিকে কিছুদূর অগ্রসর হন। অতঃপর লোকজনদের ফজরের সালাতের ইমামত। বলা হয়ে থাকে যে, এ ঘটনাটি অন্য কোন সফরে ঘটেছিল।[2]
খায়বার সংঘর্ষের বিস্তারিত বিবরণাদি লক্ষ্য করলে জানা যায় যে, নাবী কারীম (ﷺ)-এর মদীনা প্রত্যাবর্তন হয় ৭ম হিজরী সফর মাসের শেষ ভাগে কিংবা রবিউল আওয়াল মাসে।
[2] ইবনু হিশাম ২য় খন্ড ৩৪০ পৃঃ। এ ঘটনা বিশেষ ভাবে প্রসি্দ্ধ এবং সাধারণ হাদীস পুস্তকে বর্ণিত হয়েছে। যাদুল মা‘আদ ২য় খন্ড ১৪৭ পৃঃ।