লগইন করুন
খায়বার যুদ্ধ প্রথম অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল। দ্বিতীয় অঞ্চলের দূর্গ তিনটিতে যোদ্ধাদের আধিক্য থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধ ছাড়াই মুসলিমগণের হাতে আত্মসমর্পণ করেছিল।
নাবী কারীম (ﷺ) সৈন্যদের শিবির স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচন করলেন। এ প্রেক্ষিতে হুবাব বিন মুনযির (রাঃ) আরয করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! এ কথাটা বলুন যে আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে এ স্থানে শিবির স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন না যুদ্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে আপনি এটা করছেন? এটা কি আপনার ব্যক্তিগত অভিমত?
নাবী কারীম (ﷺ) বললেন, ‘না, এটা হচ্ছে নেহাত একটি অভিমতের ব্যাপার। যুদ্ধের জন্য সুবিধাজনক মনে করেই করা হচ্ছে।’
হুবাব বিন মুনযির (রাঃ) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! এ স্থানটি নাত্বাত দূর্গের সন্নিকটে অবস্থিত এবং খায়বারের যুদ্ধ-অভিজ্ঞ সৈনিকগণ এ দূর্গে অবস্থান করছে। সেখান থেকে তারা আমাদের সকল অবস্থা ও অবস্থানের খবর জানতে পারবে, কিন্তু আমাদের পক্ষে তাদের কোন অবস্থার খবর সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। অধিকন্তু, আমরা তাদের নৈশকালীন আক্রমণ থেকেও নিরাপদে থাকব না। তাদের তীর আমাদের নিকট পৌঁছে যাবে কিন্তু আমাদের তীর তাদের নিকট পৌঁছবে না। তাছাড়া, এ স্থানটি খেজুর বাগানের মধ্যে নিচু ভূমিতে অবস্থিত। এ স্থানে রোগ ব্যাধি সংক্রমণেরও আশঙ্কা থাকবে। এ সকল অসুবিধার প্রেক্ষাপটে আপনি এমন কোন স্থানে শিবির স্থাপনের ব্যবস্থা করুন যাতে আমরা এ সকল ক্ষতিকর অবস্থা থেকে মুক্ত থাকতে পারি।’ রাসূলে কারীম (ﷺ) বললেন, ‘তুমি যে পরামর্শ দিলে তা যথার্থ।’ অতঃপর তিনি স্থান পরিবর্তন করে শিবির স্থাপনের নির্দেশ প্রদান করলেন।
অগ্রযাত্রার এক পর্যায়ে মুসলিম বাহিনী খায়বারের এত নিকটে গিয়ে উপস্থিত হলেন যে, সেখান থেকে শহর পরিস্কারভাবে দেখতে পাওয়া গেল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাহিনীকে থেমে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করায় তাঁরা থেমে গেলেন। অতঃপর তিনি এ পর্যায়ে প্রার্থনা করলেন,
(اللهم رَبُّ السَّمٰوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ، وَرَبُّ الْأَرْضِيْنَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ، وَرَبُّ الشَّيَاطِيْنَ وَمَا أَضْلَلْنَ، وَرَبُّ الرِّيَاحِ وَمَا أَذرِيْنَ، فَإِنَّا نَسْأَلُكَ خَيْرَ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ، وَخَيْرَ أَهْلِهَا، وَخَيْرَ مَا فِيْهَا، وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ، وَشَرِّ أَهْلِهَا، وَشَرِّ مَا فَيْهَا، أَقْدِمُوْا، بِسْمِ اللهِ).
অর্থ : হে আল্লাহ! সপ্ত আকাশ এবং যার উপর এর ছায়া রয়েছে তাদের প্রভূ এবং সপ্ত জমিন ও যাদের সে উঠিয়ে রয়েছে তাদের প্রভূ এবং শয়তানসমূহ এবং যাদেরকে তারা ভ্রষ্ট করেছে তাদের প্রতিপালক আমরা আপনার নিকট এ বস্তির মঙ্গল, এর বাসিন্দাদের মঙ্গল এবং এর মধ্যে যা কিছু আছে তার মঙ্গল প্রার্থনা করছি। এ বসতির অনিষ্টতা, এখানে বসবাসকারীদের অনিষ্টতা এবং এখানে যা কিছু আছে তার অনিষ্টতা হতে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (এরপর বললেন) চল, আল্লাহর নামে সামনে অগ্রসর হও।[1]