লগইন করুন
এদিকে কুরাইশগণ যখন মুসলিমগণের আগমন সম্পর্কে অবহিত হল তখন তারা একটি পরামর্শ বৈঠকে মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, যে প্রকারেই হোক আল্লাহর ঘর হতে মুসলিমগণকে নিবৃত্ত করতেই হবে। এমনি এক অবস্থার প্রেক্ষাপটে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুরাইশগণের সাহায্যকারী লোকজন অধ্যূষিত জনপদের পার্শ্ববর্তী পথ দিয়ে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখলেন। এ সময় বনু কা‘ব গোত্রের এক লোক এসে নাবী কারীম (ﷺ)-কে অবহিত করল যে, কুরাইশগণ যী’তাওয় নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেছে এবং খালিদ বিন ওয়ালিদ দু’ শত ঘোড়সওয়ার সৈন্য দল নিয়ে কোরাউলগামীমে প্রস্তুত রয়েছে। (কুরাউল গামীম মক্কা যাওয়ার পথে মধ্যস্থলে এবং যাতায়াতের মহা সড়কের উপর অবস্থিত।) খালিদ মুসলিমগণকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করল।
খালিদ এমন এক স্থানে ঘোড়সওয়ারদের মোতায়েন করল যেখান থেকে উভয় দলই পরস্পর পরস্পরকে দেখতে পাচ্ছিল। যুহর সালাতের সময় খালিদ প্রত্যক্ষ করল যে, মুসলিমগণ সালাতের মধ্যে রুকু সিজদাহহ করছে। এতে তার ধারণা হল যে, সালাতের মধ্যে যখন তারা বহির্জগত সম্পর্কে গাফেল অবস্থায় থাকে তখন আক্রমণ চালালে সহজেই তাদের পরাভূত করা সম্ভব হতে পারে। তার এ ধারণার প্রেক্ষিতে সে স্থির করল যে, আসর সালাতের সময় তার বাহিনী নিয়ে সে আকস্মিকভাবে তাদের উপর আক্রমণ চালাবে। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা ঠিক সেই সময়েই খাওফের সালাতের (যুদ্ধাস্থার বিশেষ সালাত) আয়াত নাযিল করলেন। ফলে খালিদের সে সুযোগ লাভ সম্ভব হল না।