লগইন করুন
আল্লামা মাযরী বলেনঃ যাদু, মুজেযা এবং কেরামতের মধ্যে পার্থক্য হল, যাদুর মধ্যে যাদুকর কিছু মন্ত্র ও কর্মের বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বীয় স্বার্থ অর্জন করে থাকে। অন্যদিকে কেরামত হঠাৎ অলৌকিক ভাবে ঘটে থাকে। আর মুজেযা কেরামত থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের এজন্য যে, তা দ্বারা প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
হাফেজ ইবনে হাজার (রাহেমাহুল্লাহ) ইমামুল হারামাইনের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন যে, সকলের একমত যাদু কেবলমাত্র ফাসেকের (অতি পাপী) হাত দ্বারাই প্রকাশ পায়। অন্যদিকে কেরামতের প্রকাশ কোন ফাসেকের হাতে হয় না।
ইবনে হাজার (রাহেমাহুল্লাহ) আরও বলেন, সকলকেই সচেতন থাকতে হবে যে, অস্বাভাবিক ও অসাধারণ বিষয় যদি কোন শরীয়তের অনুগত কবিরা গুনাহ মুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে প্রকাশ পায় তা হবে কেরামত, অন্যথায় তা হবে যাদু। কেননা যাদু শয়তানের সাহায্যে হয়ে থাকে।
নোটঃ কখনও কখনও এমনও হতে পারে যে, কোন ব্যক্তি যাদুকর নয় এমন কি যাদু সম্পর্কে কিছুই জানে না, শরীয়তের যথাযথ অনুসারীও নয় বরং বড় বড় পাপ কর্ম করে থাকে, অথবা কবর পূজারী ও বেদআতী এরপরও দেখা যায় যে, তার থেকে অলৌকিক কিছু ঘটছে।
এর রহস্য হল যে, তাকে শয়তান সহযোগিতা করে থাকে যাতে সাধারণ মানুষ তার বিদআতী তরকায় আকৃষ্ট হয়। আর লোকজন এই সুন্নাতকে ত্যাগ করে শয়তানী পদ্ধতিকে গ্রহণ করে। এ ধরণের ঘটনা অনেক, বিশেষ করে সূফী তরীকার নেতাদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।