লগইন করুন
যাদুকর একটি অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করে আগুন জ্বালায় । আগুনে তার উদ্দেশ্য মত এক ধরণের ধূপ দেয়। সে যদি পরস্পর বিভেদ সৃষ্টি বা শক্ৰতা-হিংসা বা এমন কিছু ইচ্ছা পোষণ করে তবে আগুনে সে দূর্গন্ধযুক্ত ধূপ নিক্ষেপ করে। আর যদি পরস্পর মুহাব্বত সৃষ্টি বা স্ত্রীর প্রতি স্বামীকে আকৃষ্ট করা বা অন্য যাদু নষ্ট করার ইচ্ছা হয় তবে সে আগুনে সুগন্ধযুক্ত ধূপ মিশ্রণ করে। তারপর যাদুকর নির্ধারিত শিরকী মন্ত্র পড়তে থাকে। যাতে সে জ্বিনদের সরদারের দোহায় বা শপথ দেয়, তার মহত্বের দোহায় দিয়ে চায়; এমন কি তার মন্ত্রে আরো বিভিন্ন ধরণের শিরক অন্তর্ভুক্ত থাকে যেমনঃ বড় জিনের সম্মান ও বড়ত্বের বর্ণনা, তার নিকট ফরিয়াদ ও সাহায্য প্রার্থনা ইত্যাদি।
শর্ত হলো এমতাবস্থায় যাদুকরকে নাপাক থাকতে হবে বা নাপাক কাপড় পরে থাকতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
তার কুফ্রী মন্ত্র পাঠ শেষ হওয়া মাত্রই কুকুর বা অজগর বা অন্য কোন আকৃতিতে ভূত-প্রেতের আবির্ভাব ঘটে। অতঃপর যাদুকর যা তার ইচ্ছা তাকে নির্দেশ করে। আবার কখনও তার সামনে কোন কিছুই প্রকাশ পায় না। তবে সে তার একটি শব্দ শুনে। আবার কখনও কোন কিছুই শুনে না, তবে উদ্দিষ্ট ব্যক্তির কোন চিহ্নতে যাদুর গিরা লাগায়। যেমনঃ তার চুলে বা তার কাপড়ের টুকরাই যাতে তার গায়ের গন্ধ থাকে ইত্যাদি। এরপর সে যা ইচ্ছা সে অনুযায়ী জিনকে হুকুম করে ।
উক্ত পদ্ধতি হতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি ফুটে ওঠেঃ
১। জিন অন্ধকার কক্ষ পছন্দ করে।
২। জিন ধূপের গন্ধ গ্রহণ করে, যাতে আল্লাহর নাম না নেয়া হয়।
৩। এ পদ্ধতিতে স্পষ্ট শিরক হলো, জিনের দোহায় বা শপথ ও তাদের নিকট ফরিয়াদ ও সাহায্য প্রার্থনা করা।
৪ । জিন নাপাকী পছন্দ করে এবং শয়তান নাপাকের নিকটতম হয়ে থাকে।