লগইন করুন
উত্তর: কবরের ‘আযাব দু’ধরণের।
১- সার্বক্ষণিক ‘আযাব। এর প্রমাণ আল্লাহ তা‘আলার বাণী,
﴿ٱلنَّارُ يُعۡرَضُونَ عَلَيۡهَا غُدُوّٗا وَعَشِيّٗا٤٦﴾ [غافر: ٤٦]
“আগুন, তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় তার সামনে উপস্থিত করা হয়।” [সূরা গাফের, আয়াত: ৪৬]
সামুরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে ‘আযাবপ্রাপ্ত ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন,
«فهو يُفْعَلُ بِهِ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ».
“তার সাথে এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত করা হবে।”[1]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরে ‘আযাবপ্রাপ্ত দু’জনের কবরে খেজুরের ডাল পুঁতে রেখেছেন। সেখানে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لَعَلَّهُ يُخَفِّفُ عَنْهُمَا مَا لَمْ يَيْبَسَا».
“হয়ত এ ডালগুলো শুকনো থাকা পর্যন্ত তাদের কবরের ‘আযাব হালকা করা হবে।”[2] এ হাদীসে ‘আযাব হালকা হওয়া নির্দিষ্ট সময়ের সাথে নির্ধারণ করা হয়েছে, আর তা হলো সেগুলো যতক্ষণ ভিজা থাকবে। তাহলে মূল হলো, কবরের ‘আযাব সর্বদা চলতে থাকবে।
তবে কিছু হাদীসে বর্ণিত আছে যে, দু ফুঁৎকারের মাঝে তাদের কবরের ‘আযাব হালকা করা হবে। যেহেতু তারা যখন কবর থেকে উঠবে তখন তারা বলবে,
﴿قَالُواْ يَٰوَيۡلَنَا مَنۢ بَعَثَنَا مِن مَّرۡقَدِنَا ٥٢﴾ [يس: ٥٢]
“তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠালো?” [সূরা ইয়াসীন, আয়াত: ৫২]
২- দ্বিতীয় প্রকারের কবরের ‘আযাব নির্দিষ্ট কিছু দিনের জন্য হয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। আর তা হবে কতিপয় গুনাহগারের ‘আযাব; যাদের কিছু পাপ ছিল, সে অনুপাতে শাস্তি ভোগ করে তাদের ‘আযাব বন্ধ রাখা হবে।
[2] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২১৮।