লগইন করুন
মক্কা থেকে দীর্ঘ সফর শেষে যুল-হুলায়ফাতে পৌঁছে রাত্রি যাপন করেন এবং পরদিন দিনের বেলায় তিনি মদীনায় প্রবেশ করেন। এ সময় খুশীতে তিনি তিনবার তাকবীর ধ্বনি করেন ও দো‘আ পাঠ করেন।لا إلَه إلا اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلّ شَيْءٍ قَدِيرٌ آيِبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ سَاجِدُونَ لِرَبّنَا حَامِدُونَ صَدَقَ اللهُ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনি এক। তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব ও তাঁরই জন্য সমস্ত প্রশংসা এবং তিনিই সকল বস্ত্তর উপরে ক্ষমতাবান। আমরা সফর হ’তে প্রত্যাবর্তন করছি তওবাকারী হিসাবে, ইবাদতকারী হিসাবে, সিজদাকারী হিসাবে এবং আমাদের প্রভুর জন্য প্রশংসাকারী হিসাবে। আল্লাহ সত্যে পরিণত করেছেন তাঁর প্রতিশ্রুতিকে, জয়ী করেছেন তাঁর বান্দা (মুহাম্মাদ)-কে এবং পরাজিত করেছেন একাই সম্মিলিত (কুফরী) শক্তিকে’।[1]
এই হজ্জ ছিল রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনের সর্বশেষ হজ্জ। সেকারণ একে ‘বিদায় হজ্জ’ বা ‘হাজ্জাতুল অদা‘(حَجَّةُ الْوَدَاعِ) বা ‘হাজ্জাতুল বিদা‘(حَجَّةُ الْوِدَاعِ) বলা হয় (মিরক্বাত হা/১৯৫১-এর ব্যাখ্যা)। এই সময় তিনি উম্মতের উদ্দেশ্যে সর্বশেষ উপদেশবাণী প্রদান করেন বিধায় একে ‘হাজ্জাতুল বালাগ’(حَجَّةُ الْبَلاَغِ) বলা হয়। সেই সাথে ইসলামী জীবনে রাসূল (ছাঃ)-এর একমাত্র হজ্জ হওয়ার কারণে এবং মানবজাতির জন্য ‘ইসলামকে একমাত্র দ্বীন’ হিসাবে আল্লাহর পক্ষ হ’তে মনোনীত হওয়ার কারণে ও ইসলামের পূর্ণাঙ্গতার সনদ নাযিল হওয়ার কারণে একে ‘হাজ্জাতুল ইসলাম’(حَجَّةُ الْإِسْلاَمِ) বলা হয় (আল-বিদায়াহ ৫/১০৯)।