লগইন করুন
কুরবানী শেষে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নাপিত ডাকেন এবং নিজের মাথা মুন্ডন করেন (মুসলিম হা/১৩০৪)। তাঁর ছাহাবীগণের অনেকে মুন্ডন করেন ও কেউ কেউ চুল ছাটেন।[1] আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, অতঃপর মাথার ডান পাশের চুলগুলি নাপিত মা‘মার বিন আব্দুল্লাহকে দেন এবং বামপাশের চুলগুলি আবু ত্বালহা আনছারীকে দেন এবং বলেন, এগুলি লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দাও (মুসলিম হা/১৩০৫)। অতঃপর তিনি মাথা মুন্ডনকারীদের জন্য তিনবার ও চুল ছাটাইকারীদের জন্য একবার ক্ষমা প্রার্থনা করেন।[2] পবিত্র কুরআনেও মাথা মুন্ডনের কথা আগে অতঃপর চুল ছাটাইয়ের কথা এসেছে (সূরা ফাৎহ ৪৮/২৭)। এর ফলে অধিকাংশ মাথা মুন্ডন করেন ও কিছু ব্যক্তি চুল ছাটাই করেন (যাদুল মা‘আদ ২/২৪৯)। নববী বলেন, কাটা চুল বণ্টনের মধ্যে রাসূল (ছাঃ)-এর চুলের বরকত প্রমাণিত হয় এবং নেতা ও গুরুজনদের জন্য অধঃস্তনদের প্রতি হাদিয়া প্রদানের নির্দেশনা পাওয়া যায়।[3]
১০ই যিলহজ্জ কুরবানীর দিন সকালে সূর্য উপরে উঠলে[4](حِينَ ارْتَفَعَ الضُّحَى) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি সাদা-কালো মিশ্রিত খচ্চরে(عَلَى بَغْلَةٍ شَهْبَاءَ) সওয়ার হয়ে (কংকর নিক্ষেপের পর) জামরায়ে আক্বাবায় এক ভাষণ দেন। এমতাবস্থায় লোকদের কেউ দাঁড়িয়েছিল, কেউ বসেছিল। হযরত আলী (রাঃ) তাঁর ভাষণ লোকদের শুনাচ্ছিলেন। এ দিনের ভাষণে তিনি আগের দিন আরাফাতের ময়দানে দেওয়া ভাষণের কিছু কিছু অংশ পুনরুল্লেখ করেন।[5]
[2]. মুসলিম হা/১৩০৩; মিশকাত হা/২৬৪৯ ‘মানাসিক’ অধ্যায়-১০ ‘মাথা মুন্ডন’ অনুচ্ছেদ-৮।
[3]. মুসলিম, শরহ নববী হা/১৩০৫; যাদুল মা‘আদ ২/২৪৯।
কিন্তু এর দ্বারা রাসূল (ছাঃ)-এর চুল বা পরিত্যক্ত বস্ত্তসমূহের ভাল-মন্দ করার ক্ষমতা আছে মনে করা শিরক। কেননা এর মালিক একমাত্র আল্লাহ (ইউনুস ১০/১০৭)। আর সেটা মনে করলে ছাহাবায়ে কেরাম সকলেই এতে শরীক হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করতেন। যেমন এযুগে এসব কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়। কাশ্মীরে ‘হযরত বাল’ (حضرت بال) নিয়ে চূড়ান্ত বাড়াবাড়ি তার অন্যতম প্রমাণ।
[4]. এতে বুঝা যায় যে, সম্ভবতঃ কুরবানীর পূর্বেই তিনি এ ভাষণ দেন।
[5]. আবুদাঊদ হা/১৯৫৬; মিশকাত হা/২৬৭১।