লগইন করুন
ইয়ামনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছিল এই গোত্রের বসবাস। প্রথমে ১০ম নববী বর্ষে দাউস গোত্রের নেতা ও বিখ্যাত কবি তোফায়েল বিন আমর মক্কায় যান। মক্কাবাসীরা শহরের বাইরে এসে তাকে অভ্যর্থনা জানায় এবং তাদের ধারণা মতে জাদুগ্রস্ত (?) মুহাম্মাদ-এর কাছে যেতে তাকে নিষেধ করে। কিন্তু তিনি একদিন খুব ভোরে কা‘বাগৃহে যান ও রাসূল (ছাঃ)-কে পেয়ে যান। তিনি তাঁর মুখে কুরআন শুনে মুগ্ধ হন এবং ইসলাম কবুল করেন’। অতঃপর তিনি ফিরে গিয়ে তার কওমকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকেন। কিন্তু তার কওমে যেনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘদিন দাওয়াত দিয়ে কোন ফল না পেয়ে এক পর্যায়ে তিনি নিরাশ হয়ে পড়েন এবং রাসূল (ছাঃ)-কে তার কওমের বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করার আবেদন জানান। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের জন্য হেদায়াতের দো‘আ করে বলেন,اللهُمَّ اهْدِ دَوْسًا وَائْتِ بِهِمْ ‘হে আল্লাহ! তুমি দাউস কওমকে সুপথ প্রদর্শন কর এবং তাদেরকে (মুসলমান করে) নিয়ে এসো’।[1]
অতঃপর আমাকে বলেন, তুমি তোমার কওমের নিকট ফিরে যাও এবং তাদেরকে আল্লাহর পথে আহবান কর ও তাদের সাথে নম্র ব্যবহার কর। আমি তাই করলাম। ফলে সত্বর আমার গোত্রের লোকেরা ইসলাম কবুল করল এবং ৭০ অথবা ৮০ জনের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ৭ম হিজরীর প্রথম দিকে আমি মদীনায় এলাম। কিন্তু ঐ সময়ে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) খায়বর অভিযানে থাকায় আমরা খায়বরে চলে যাই এবং রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করি’।[2] এই দলেই ছিলেন পরবর্তীতে শ্রেষ্ঠতম হাদীছজ্ঞ ছাহাবী আবু হুরায়রা (রাঃ)। যদি সেদিন রাসূল (ছাঃ) বদ দো‘আ করতেন, আর দাউস কওম ধ্বংস হয়ে যেত, তাহ’লে আবু হুরায়রার মত ছাহাবীর খিদমত থেকে মুসলিম উম্মাহ বঞ্চিত হয়ে যেত। অতএব ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য’ আলহামদুলিল্লাহ।
[শিক্ষণীয় : দ্বীনের দাওয়াতে দ্রুত ফল লাভের আশা করা যাবে না বা নিরাশ হওয়া যাবে না। ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বদ দো‘আ না করে বরং সর্বদা লোকদের হেদায়াতের জন্য দো‘আ করা উচিত]
[2]. ইবনু হিশাম ১/৩৮৪-৮৫; যাদুল মা‘আদ ৩/৫৪৬।