লগইন করুন
কতগুলি ঘটনার সাহায্যে তুলে ধরাই উত্তম হবে। যেমন-
(১) আউস ও খাযরাজ উভয় গোত্র মিলিতভাবে তাদের নেতা হিসাবে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে বরণ করে নেবার জন্য যখন মণিমুক্তাখচিত মুকুট তৈরী করেছিল, সে সময় হিজরত সংঘটিত হওয়ার ফলে সকলে আব্দুল্লাহকে ছেড়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে নেতৃত্বে বরণ করে নেয়। এতে রাসূলকেই সে তার নেতৃত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী করে। ফলে শুরু থেকেই সে রাসূল (ছাঃ)-এর বিরুদ্ধে তার দলবল নিয়ে চক্রান্ত করতে থাকে। যেমন একদিন আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) খাযরাজ গোত্রের অসুস্থ নেতা সা‘দ বিন ওবাদাহকে দেখার জন্য গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন পথিপার্শ্বে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বসা আব্দুল্লাহ বিন উবাই নাকে কাপড় চাপা দিয়ে রাসূল (ছাঃ)-কে তাচ্ছিল্য করে বলে ওঠে,لاَ تُغَبِّرُوا عَلَيْنَا ‘আমাদের উপরে ধূলোবালি উড়িয়ো না’ (বুখারী হা/৬২০৭)।
(২) যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কোন মজলিসে লোকদের কুরআন শুনাতেন, তখন সেখানে সে উপস্থিত হয়ে বলত,إِنَّهُ لاَ أَحْسَنَ مِمَّا تَقُولُ، إِنْ كَانَ حَقًّا، فَلاَ تُؤْذِينَا بِهِ فِى مَجْلِسِنَا، ارْجِعْ إِلَى رَحْلِكَ، فَمَنْ جَاءَكَ فَاقْصُصْ عَلَيْهِ ‘তুমি যা বল তা সুন্দর নয়। যদি তা সত্য হয়, তবে তা দিয়ে তুমি এ মজলিসে আমাদেরকে কষ্ট দিয়ো না। তুমি তোমার ঘরে চলে যাও। তোমার কাছে যে আসে, তার কাছে এসব কথা বল’।[1] এগুলি ছিল তার ইসলাম গ্রহণের পূর্বেকার আচরণ।