লগইন করুন
এই যুদ্ধে ফাই-য়ের বিধান নাযিল হয়। বিনা যুদ্ধে অর্জিত শত্রু সম্পত্তিগুলি রাসূল (ছাঃ)-এর মালিকানাধীন ‘ফাই’ হিসাবে গণ্য হয়। যে বিষয়ে আল্লাহ বলেন,وَمَا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلا رِكَابٍ وَلَكِنَّ اللهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ‘আল্লাহ জনপদবাসীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে যে ধন-সম্পদ দিয়েছেন, যার জন্য তোমরা ঘোড়ায় বা উটে সওয়ার হয়ে যুদ্ধ করোনি। কিন্তু আল্লাহ যার উপর ইচ্ছা করেন, স্বীয় রাসূলগণকে কর্তৃত্ব দান করে থাকেন। বস্ত্ততঃ আল্লাহ সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী’ (হাশর ৫৯/৬)।
বনু নাযীরের পরিত্যক্ত সম্পত্তি গণীমত নয় বরং ‘ফাই’ হিসাবে গণ্য হয়। কেননা এখানে কোন যুদ্ধের প্রয়োজন হয়নি। ফলে তা বণ্টিত হয়নি। সবটাই রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসাবে সংরক্ষিত হয়। যা রাসূল (ছাঃ) পরবর্তী যুদ্ধ প্রস্ত্ততি ও অন্যান্য দান-ছাদাক্বাহর কাজে ব্যয় করেন। অবশ্য সেখান থেকে কিছু অংশ তিনি ব্যয় করেন নিজস্ব অধিকার বলে প্রথম দিকে হিজরতকারী ছাহাবীগণের মধ্যে। কিছু দেন অভাবগ্রস্ত আনছার ছাহাবী আবু দুজানা ও সাহল বিন হুনায়েফকে এবং কিছু রাখেন নিজ স্ত্রীগণের সংবৎসরের খোরাকির জন্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদেরকে অস্ত্র-শস্ত্র ছাড়া বাকী সব মালামাল নিয়ে পরিবার-পরিজনসহ চলে যাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে তারা নিজেদের হাতে গড়া ঘরবাড়ি নিজেরা ভেঙ্গে দরজা-জানালা সহ ৬০০ উট বোঝাই করে নিয়ে চলে যায়। গোত্রনেতা হুয়াই বিন আখত্বাব, সাল্লাম বিন আবুল হুক্বাইক্ব সহ অধিকাংশ ইহূদী ৬০ মাইল দূরে খায়বরে চলে যায়। বাকী কিছু অংশ সিরিয়া চলে যায়। তবে তাদের মধ্যে ইয়ামীন বিন ‘আমর ও আবু সা‘দ বিন ওয়াহাব (يامين بن عمرو وأبو سعد بنُ وَهْب) নামক দু’জন ব্যক্তি ইসলাম কবুল করেন। ফলে তাদের মালামাল সবই অক্ষত থাকে’ (সীরাহ ছহীহাহ ২/৩১০)।