লগইন করুন
উত্তর: যে ঈমানের মাধ্যমে আকীদাহ[1] উদ্দেশ্য, তার রুকন মোট ছয়টি। সেগুলো হাদীসে জিবরীলে উল্লেখ হয়েছে। জিবরীল আলাইহিস সালাম যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঈমান হলো তুমি বিশ্বাস করবে আল্লাহর প্রতি, ফিরিশতাদের প্রতি, আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি, রাসূলগণের প্রতি, পরকালের প্রতি এবং ভাগ্যের ভালো-মন্দের প্রতি। অপর পক্ষে যেখানে ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা-প্রশাখা থাকার কথা বলা হয়েছে, সেখানে ঈমানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার সৎ আমল উদ্দেশ্য। এ জন্য সালাতকে ঈমানের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَٰنَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِٱلنَّاسِ لَرَءُوفٞ رَّحِيمٞ﴾ [البقرة: ١٤٣]
“আল্লাহ তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করবেন না। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অতীব দয়ালু”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৪৩]তাফসীরকারকগণ বলেছেন, এখানে ঈমান দ্বারা বায়তুল মাকদাসের দিকে ফিরে আদায় করা সালাত উদ্দেশ্য। কেননা সাহাবীগণ কা‘বার দিকে মুখ করে সালাত আদায়ের পূর্বে বাইতুল মাকদাসের দিকে ফিরে সালাত আদায় করতেন।