লগইন করুন
হামযা ও ওমর (রাঃ)-এর পরপর মুসলমান হয়ে যাওয়ায় কুরায়েশরা দারুণভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ফলে এতে মুসলমানদের মধ্যে আনন্দ ও সাহসের সঞ্চার হ’লেও দূরদর্শী ও স্নেহশীল চাচা আবু ত্বালিবের বুকটা ভয়ে সব সময় দুরু দুরু করত কখন কোন মুহূর্তে শয়তানেরা আকস্মিকভাবে মুহাম্মাদকে হামলা করে মেরে ফেলে। সবদিক ভেবে তিনি একদিন স্বীয় প্রপিতামহ ‘আব্দে মানাফের দুই পুত্র হাশেম ও মুত্ত্বালিবের বংশধরগণকে একত্রিত করলেন। অতঃপর তাদের সামনে বললেন, এতদিন আমি এককভাবে ভাতিজা মুহাম্মাদের তত্ত্বাবধান করেছি। কিন্তু এখন এই চরম বার্ধক্যে ও প্রচন্ড বৈরী পরিবেশে আমার পক্ষে এককভাবে আর মুহাম্মাদের নিরাপত্তা বিধান করা সম্ভব নয়। সেকারণ আমি তোমাদের সকলের সহযোগিতা চাই’।
গোত্রনেতা আবু ত্বালিবের এই আহবানে ও গোত্রীয় আকর্ষণে সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং মুহাম্মাদের হেফাযতের ব্যাপারে সবাই একযোগে তাকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। একমাত্র চাচা আবু লাহাব বিরোধিতা করল এবং সে মুহাম্মাদের বিপক্ষ দলের প্রতি সমর্থন দানের ঘোষণা দিল’ (ইবনু হিশাম ১/২৬৯; আর-রাহীক্ব ১০৮ পৃঃ)।