লগইন করুন
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে নির্যাতনকারীদের মধ্যে অন্যতম সেরা একজন ব্যক্তি ছিল, যে ছিল জারজ সন্তান। সে ভাল মানুষ সেজে রাসূল (ছাঃ)-এর সামনে মিথ্যা শপথ করে কথা বলত এবং পরে লোকদের কাছে গিয়ে চোগলখুরী করত। ঐ নেতার নাম সম্বন্ধে মতভেদ আছে। কেউ বলেছেন, আখনাস বিন শারীক্ব ছাক্বাফী, কেউ বলেছেন, অলীদ বিন মুগীরাহ মাখযূমী ইত্যাদি (কুরতুবী, ইবনু কাছীর)। তবে শেষোক্ত নামটিই অধিক প্রসিদ্ধ। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব ও ইকরিমা বলেন, এই ব্যক্তি ছিল ব্যভিচারের সন্তান। সে কুরায়েশ বংশজাত ছিল না। ১৮ বছর পরে জনৈক ব্যক্তি তার পিতৃদাবী করে’ (কুরতুবী)। আল্লাহপাক তার নয়টি বদ স্বভাবের কথা বর্ণনা করেছেন। যেমন,
وَلاَ تُطِعْ كُلَّ حَلاَّفٍ مَّهِينٍ- هَمَّازٍ مَّشَّاءٍ بِنَمِيْمٍ- مَنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ مُعْتَدٍ أَثِيْمٍ- عُتُلٍّ بَعْدَ ذَلِكَ زَنِيْمٍ- (القلم ১০-১৩)-
‘তুমি কথা শুনবে না ঐ ব্যক্তির, যে অধিক শপথকারী ও হীন স্বভাব বিশিষ্ট’। ‘যে সম্মুখে নিন্দা করে এবং একের কথা অন্যকে লাগিয়ে চোগলখুরী করে’। ‘সে ভালকাজে অধিক বাধাদানকারী, সীমালংঘনকারী ও পাপিষ্ঠ’। ‘রুক্ষ স্বভাবী এবং এরপরেও সে একজন জারজ সন্তান’ (ক্বলম ৬৮/১০-১৩)।
তার এই বাড়াবাড়ির কারণ ছিল তার অতুল বিত্ত-বৈভবের অহংকার। যেমন আল্লাহ বলেন,
أَنْ كَانَ ذَا مَالٍ وَّ بَنِيْنَ- إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِ آيَاتُنَا قَالَ أَسَاطِيْرُ الْأَوَّلِيْنَ- سَنَسِمُهُ عَلَى الْخُرْطُوْمِ-
‘আর এটা এ কারণে যে, সে ছিল বহু মাল-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির মালিক’। ‘যখন তার সম্মুখে আমাদের আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন সে বলে, এসব পুরাকালের কাহিনী’। ‘সত্বর আমরা তার নাসিকা দাগিয়ে দেব’ (ক্বলম ৬৮/১৪-১৬)। হাতী বা শূকরের শুঁড়কে আরবীতে ‘খুরতূম’ বলা হয়। এখানে ঐ ব্যক্তির নাম সম্পর্কে এই বিশেষণ ব্যবহার করা হয়েছে তার হীনতা ও নিকৃষ্টতা প্রকাশ করার জন্য। ক্বিয়ামতের দিন তার নাকে খৎ দিয়ে নাসিকা দাগিয়ে দিয়ে চিহ্নিত করা হবে এজন্য যে, অন্যের সামনে তার লাঞ্ছনা যেন পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে। দুনিয়াতে সে রাসূল (ছাঃ)-এর দাওয়াত থেকে নাক সিঁটকিয়েছিল। ফলে ক্বিয়ামতের দিন তার বদলা হিসাবে তার নাসিকা দাগানো হবে। একাজ অন্যেরা করলেও তার পাপ ছিল বেশী। কেননা সে ছিল নেতা। তাই তাকে সেদিন সর্বসমক্ষে চিহ্নিত করা হবে। نعوذ بالله من غضبه وقهره