লগইন করুন
(১) আবুল ‘আছ বিন রাবী‘ : ইনি খাদীজার আপন বোন হালার পুত্র ছিলেন। কন্যা যয়নবকে তিনি এই ভাগিনার সাথে বিবাহ দেন। আলী ও উমামাহ নামে তাঁদের একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান হয়। যয়নব (রাঃ) ৮ম হিজরীতে এবং আবুল ‘আছ (রাঃ) ১২ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। (২-৩) উৎবা ও উতাইবাহ : আবু লাহাবের এই দুই পুত্রের সাথে রুক্বাইয়া ও উম্মে কুলছূমের বিবাহ হয়। কিন্তু সূরা লাহাব নাযিলের পর তাদেরকে তালাক দিতে আবু লাহাব বাধ্য করেন। এদের ঔরসে কোন সন্তানাদি হয়নি। পরে রুক্বাইয়া হযরত ওছমান (রাঃ)-এর সাথে বিবাহিতা হন। হাবশায় হিজরতকালীন সময়ে ‘আব্দুল্লাহ’ নামে তাঁর একটি পুত্র সন্তান হয়। যিনি ১ম হিজরীতে মদীনায় ৬ বছর বয়সে মারা যান। তার পরের বছর ২য় হিজরীতে বদরের যুদ্ধ থেকে ফেরার দিন রুক্বাইয়া মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর উম্মে কুলছূমকে ওছমানের সাথে বিবাহ দেওয়া হয়। রাসূল (ছাঃ)-এর দুই মেয়ের স্বামী হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করায় ওছমানকে ‘যুন-নূরাইন’(ذُوْ النُّورَين) বলা হয়।[1] উম্মে কুলছূম নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি ৯ম হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। (৪) আলী ইবনু আবী ত্বালেব : ২য় হিজরীর ছফর মাসে তাঁর সাথে ফাতেমা (রাঃ)-এর বিবাহ হয়। হাসান, হোসায়েন, উম্মে কুলছূম ও যয়নব নামে তাঁর গর্ভজাত চারটি সন্তান ছিল। অনেকে মুহসিন ও রুক্বাইয়া নামে আরও দু’টি সন্তানের কথা বলেছেন। যারা শিশু অবস্থায় মারা যায়। ১১ হিজরীর ৩রা রামাযান মঙ্গলবার রাতে ৩০ অথবা ৩৫ বছর বয়সে ফাতেমা (রাঃ) মৃত্যুবরণ করেন।[2]
[2]. সন্তান-সন্ততি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা দেখুন : আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৫/২৬৭-৭০; রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ২/৯৫-১১১ পৃঃ; আল-ইছাবাহ, আব্দুল্লাহ বিন ওছমান ক্রমিক সংখ্যা ৬১৮৯।