কোন ভুল থাকলে সেটি রিপোর্ট করার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন।
লগইন করুন
লগইন করুন
নবীদের কাহিনী ২৫. হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) - মাক্কী জীবন ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
খাৎনা ও নামকরণ (الخةان والعقيقة)
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সপ্তম দিনে নবজাতকের খাৎনা ও নামকরণ করা হয়।[1] পিতৃহীন নবজাতককে কোলে নিয়ে স্নেহশীল দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিব কা‘বাগৃহে প্রবেশ করেন। তিনি সেখানে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন ও প্রাণভরে দো‘আ করেন। আকীকার দিন সমস্ত কুরায়েশ বংশের লোককে দাওয়াত করে খাওয়ান। সকলে জিজ্ঞেস করলে তিনি বাচ্চার নাম বলেন, ‘মুহাম্মাদ’। এই অপ্রচলিত নাম শুনে লোকেরা বিস্ময়ভরে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি চাই যে, আমার বাচ্চা সারা দুনিয়ায় ‘প্রশংসিত’ হৌক (রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ১/৪১)। ওদিকে স্বপ্নের মাধ্যমে ফেরেশতার দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী মা আমেনা তার নাম রাখেন ‘আহমাদ’ (রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ১/৩৯)। উভয় নামের অর্থ প্রায় একই। অর্থাৎ ‘প্রশংসিত’ এবং ‘সর্বাধিক প্রশংসিত’।[2]
[1]. যাদুল মা‘আদ ১/৮০-৮১। খাৎনা ও আক্বীক্বা করার বিষয়টি যে আরবদের মাঝে পূর্ব থেকেই প্রচলিত ছিল, তা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (বুখারী হা/৭, আবুদাঊদ হা/২৮৪৩)। তবে রাসূল (ছাঃ)-এর খাৎনা যে সপ্তম দিনেই হয়েছিল (আর-রাহীক্ব ৫৪ পৃঃ) একথার কোন প্রমাণ নেই (ঐ, তা‘লীক্ব ৩৯-৪৪ পৃঃ)। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর খাৎনা সম্পর্কে তিনটি কথা চালু আছে। ১. তিনি খাৎনা ও নাড়ি কাটা অবস্থায় ভূমিষ্ট হয়েছিলেন। ইবনুল জাওযী এটাকে মওযূ‘ বা জাল বলেছেন। ২. হালীমার গৃহে থাকার সময় প্রথম বক্ষবিদারণকালে ফেরেশতা জিব্রীল তাঁর খাৎনা করেন। ৩. দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিব তাঁকে সপ্তম দিনে খাৎনা করান ও নাম রাখেন এবং লোকজনকে দাওয়াত করে খাওয়ান। এগুলি সম্পর্কে যেসব বর্ণনা এসেছে, তার কোনটিই ছহীহ নয়। এ বিষয়ে বিপরীতমুখী দু’জন মুহাক্কিকের একজন কামালুদ্দীন বিন ‘আদীম বলেন, আরবদের রীতি অনুযায়ী তাঁকে খাৎনা করা হয়েছিল। এটি এমন একটি রীতি, যা প্রমাণের জন্য কোন নির্দিষ্ট বর্ণনার প্রয়োজন নেই’ (যাদুল মা‘আদ ১/৮০-৮১)।
[2]. উভয় নামই কুরআনে এসেছে। যেমন ‘মুহাম্মাদ’ নাম এসেছে চার জায়গায়। যথাক্রমে- সূরা আলে ইমরান ৩/১৪৪, আহযাব ৩৩/৪০; মুহাম্মাদ ৪৭/২ এবং ফাৎহ ৪৮/২৯। তাছাড়া ‘মুহাম্মাদ’ নামেই একটি সূরা নাযিল হয়েছে সূরা মুহাম্মাদ (৪৭ নং সূরা)। অনুরূপভাবে ‘আহমাদ’ নাম এসেছে এক জায়গায় (ছফ ৬১/৬)।
সীরাতে ইবনু হিশামের ভাষ্যকার সুহায়লী (মৃ. ৫৮১ হি.) বলেন, ঐ সময় সারা আরবে মাত্র তিনজন ব্যতীত অন্য কারু নাম ‘মুহাম্মাদ’ ছিল বলে জানা যায় না। যাদের প্রত্যেকের পিতা তার পুত্র আখেরী নবী হবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করে যান। যাদের একজন হ’লেন বিখ্যাত উমাইয়া কবি ফারাযদাক্ব (৩৮-১১০ হি.)-এর প্রপিতামহ মুহাম্মাদ বিন সুফিয়ান বিন মুজাশি‘। অন্যজন হলেন মুহাম্মাদ বিন উহাইহাহ বিন জুলাহ। আরেকজন হলেন মুহাম্মাদ বিন হুমরান বিন রাবী‘আহ। এদের পিতারা বিভিন্ন সম্রাটের দরবারে গিয়ে জানতে পারেন যে, আখেরী নবী হেজাযে জন্মগ্রহণ করবেন। ফলে তারা মানত করে যান যে, তাদের পুত্র সন্তান হ’লে যেন তার নাম ‘মুহাম্মাদ’ রাখা হয় (ইবনু হিশাম ১/১৫৮ -টীকা-১)।
[2]. উভয় নামই কুরআনে এসেছে। যেমন ‘মুহাম্মাদ’ নাম এসেছে চার জায়গায়। যথাক্রমে- সূরা আলে ইমরান ৩/১৪৪, আহযাব ৩৩/৪০; মুহাম্মাদ ৪৭/২ এবং ফাৎহ ৪৮/২৯। তাছাড়া ‘মুহাম্মাদ’ নামেই একটি সূরা নাযিল হয়েছে সূরা মুহাম্মাদ (৪৭ নং সূরা)। অনুরূপভাবে ‘আহমাদ’ নাম এসেছে এক জায়গায় (ছফ ৬১/৬)।
সীরাতে ইবনু হিশামের ভাষ্যকার সুহায়লী (মৃ. ৫৮১ হি.) বলেন, ঐ সময় সারা আরবে মাত্র তিনজন ব্যতীত অন্য কারু নাম ‘মুহাম্মাদ’ ছিল বলে জানা যায় না। যাদের প্রত্যেকের পিতা তার পুত্র আখেরী নবী হবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করে যান। যাদের একজন হ’লেন বিখ্যাত উমাইয়া কবি ফারাযদাক্ব (৩৮-১১০ হি.)-এর প্রপিতামহ মুহাম্মাদ বিন সুফিয়ান বিন মুজাশি‘। অন্যজন হলেন মুহাম্মাদ বিন উহাইহাহ বিন জুলাহ। আরেকজন হলেন মুহাম্মাদ বিন হুমরান বিন রাবী‘আহ। এদের পিতারা বিভিন্ন সম্রাটের দরবারে গিয়ে জানতে পারেন যে, আখেরী নবী হেজাযে জন্মগ্রহণ করবেন। ফলে তারা মানত করে যান যে, তাদের পুত্র সন্তান হ’লে যেন তার নাম ‘মুহাম্মাদ’ রাখা হয় (ইবনু হিশাম ১/১৫৮ -টীকা-১)।