লগইন করুন
পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার ও জ্ঞাতি-বন্ধনের দাবী এই যে, বিশেষ করে ঈদের দিন তাদের যিয়ারত করা। তাদের অবস্থা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা, ঈদের খুশী ও সুখে তাদের শরীক হওয়া। পিতামাতা থেকে পৃথক থাকলে (বা এক বাড়িতে না থাকলে) তাদের যিয়ারত পুত্রের জন্য সুনিশ্চিত হয়। অতঃপর আত্মীয়-স্বজনদের যিয়ারত ও তার পর দ্বীনী ভাই-বন্ধুদের যিয়ারত করা কর্তব্য। সুতরাং বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের যিয়ারতকে পিতা-মাতার যিয়ারতের উপর প্রাধান্য দেওয়া আদৌ বৈধ নয়।
যেমন, এই যিয়ারতে বেগানা নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীর অবাধ মিলামিশা, পর্দাহীনতা, নারীদের নানান সাজ-সজ্জা ও অঙ্গরাগে সুগন্ধ মেখে গায়ের মাহরাম (গম্য) পুরুষদের সাথে সাক্ষাৎ ও মুসাফাহাহ করা, খেলা, ছবি তোলা ইত্যাদি হারাম।
জ্ঞাতি-বন্ধন জাগরূক রাখার জন্য ঈদ এক বড় শুভপর্ব। যেদিন প্রায় সকলের মুখে হাসির ফুলকুঁড়ি ফুটে ওঠে। কিন্তু এমন অনেক মানুষ থাকে, যাদের সে হাসি ওষ্ঠাধরে পৌঁছনোর পূর্বে হূদয় মাঝেই বিলীন হয়ে যায়। তারা খুশীর সংবাদ অনুভব করতে সক্ষম হয় না। বরং মনঃকষ্টে অনেকের চক্ষুদ্বয় অশ্রুসিক্ত হয়। এমন লোকদেরকে বেছে তাদের হাসি ফুটিয়ে তুলতে সহযোগিতা করা এক মহান কাজ। ঐ দিনে আত্মীয় ও প্রতিবেশীর কোন অনাথ, এতীম, দুঃস্থ, দাস-দাসী, বিধবা অভাগিনীদের কথা বিস্মৃত হওয়া উচিত নয়। এ উপলক্ষে তাদেরকে কিছু উপহার দিয়ে সান্তনা দান মহৎ লোকের কাজ।