লগইন করুন
ঈদুল আযহার পরবর্তী ৩ দিন রোযা রাখা বৈধ নয়। কেননা, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তাশরীকের দিনগুলো পানাহার ও আল্লাহর যিক্র করার দিন।’’[1]
যে ব্যক্তির প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা অভ্যাস আছে এবং তা যদি তাশরীকের কোন দিন পড়ে, তাহলে তার জন্যও ঐ রোযা রাখা বৈধ নয়। কারণ, সুন্নত কাজ করে হারাম-বিধান লংঘন করা যাবে না।[2]
অবশ্য যে (অমক্কাবাসী) হাজী মিনায় হজ্জের হাদ্ই (কুরবানী) দিতে সক্ষম হয় না, তার জন্য ঐ দিনগুলিতে বিনিমেয় রোযা রাখা বৈধ।
মহান আল্লাহ বলেন,
(فَمَنْ تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ، فَمَنْ لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ، تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ)
অর্থাৎ, সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জের আগে উমরাহ করে হালাল হয়ে লাভবান হতে (তামাত্তু হজ্জ করতে) চায় সে সহজলভ্য কুরবানী পেশ করবে। কিন্তু যদি কেউ কুরবানী না পায়, তাহলে তাকে হজ্জের সময় ৩দিন এবং ঘরে ফিরে ৭দিন এই পূর্ণ ১০দিন রোযা পালন করতে হবে। (কুরআনুল কারীম ২/১৯৬)
আয়েশা ও ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, ‘যে হাজী হাদ্ই দিতে অপারগ সে ছাড়া আর কারো জন্য তাশরীকের দিনগুলিতে রোযা রাখার অনুমতি নেই।’[3]
[2] (আসইলাতুন অআজবিবাতুন ফী সবলাতিল ঈদাঈন ২৩পৃঃ)
[3] (বুখারী ১৯৯৭, ১৯৯৮নং)