লগইন করুন
প্রত্যেক সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা সুন্নত ও মুস্তাহাব। যেহেতু তা ছিল মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর আমল। আর দিন দুটিতে বিশবাধিপতি আল্লাহর নিকট বান্দার আমল পেশ করা হয়।
মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোযা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’[1]
আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘সোম ও বৃহস্পতিবার (মানুষের) সকল আমল (আল্লাহর দরবারে) পেশ করা হয়। তাই আমি এটা পছন্দ করি যে, আমার রোযা রাখা অবস্থায় আমার আমল (তাঁর নিকট) পেশ করা হোক।’’[2]
উক্ত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবারে (মানুষের) সকল আমল (আল্লাহর নিকট) পেশ করা হয়। (এবং বেহেশ্তের দ্বারসমূহ উ¦মুক্ত করা হয়।) আর (ঐ উভয় দিনে) আল্লাহ আয্যা অজাল্ল্ প্রত্যেক সেই ব্যক্তিকে মার্জনা করে দেন যে কোন কিছুকে তাঁর অংশী স্থাপন করে না। তবে সেই ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না যার নিজ ভায়ের সাথে বিদ্বেষ থাকে; এই দুই ব্যক্তির জন্য (ফিরিশ্তার উদ্দেশ্যে) তিনি বলেন, উভয়ের মিলন না হওয়া পর্যন্ত ওদেরকে অবকাশ দাও। উভয়ের মিলন না হওয়া পর্যন্ত ওদেরকে অবকাশ দাও।’’[3]
আবূ কাতাদাহ (রাঃ) বলেন, ‘সোমবার রোযা রাখার ব্যাপারে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বললেন, ‘‘এটা হল সেই দিন, যেদিনে আমার জ¦ম হয়েছে এবং আমার উপর সর্বপ্রথম কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’’ অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘ঐ দিনে আমি (নবীরূপে) প্রেরিত হয়েছি।’’[4]
[2] (তিরমিযী, সহীহ তারগীব, আলবানী ১০২৭নং)
[3] (আহমাদ, মুসনাদ ২/৩২৯, মুসলিম ২৫৬৫ নং, প্রমুখ)
[4] (আহমাদ, মুসনাদ ৫/২৯৭, ২৯৯, মুসলিম ১১৬২, আবূ দাঊদ ২৪২৫নং)