লগইন করুন
কোন আয়াতকে কেন্দ্র করে ভাবতে ও ভাবাতে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তা একাধিক বার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পাঠ করা দোষাবহ নয়; যদি তার ফলে হৃদয়ে প্রভাব পড়ে এবং কান্না আকর্ষণ করে।[1] আর এ কথা প্রমাণিত যে, এক রাত্রে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) একটি মাত্র আয়াতকে বারবার পাঠ করে ফজর পর্যন্ত কিয়াম করেছেন।[2] সে আয়াতটি হল,
(إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ، وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ)
অর্থাৎ, (হে প্রতিপালক!) যদি তুমি ওদেরকে শাস্তি দাও, তাহলে তারা তো তোমারই বান্দা। আর যদি তুমি ওদেরকে মাফ করে দাও, তাহলে নিশ্চয় তুমি পরাক্রমশালী বিজ্ঞানময়। (কুরআনুল কারীম ৫/১১৮)
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কুরআন তেলাঅতের সময় তসবীহর আয়াত পাঠ করলে তসবীহ পড়তেন, মঙ্গল প্রার্থনার আয়াত পাঠ করলে মঙ্গল প্রার্থনা করতেন এবং আশ্রয় প্রার্থনার আয়াত পাঠ করলে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।[3] অতএব বাঞ্ছনীয় হল, আয়াত হৃদয়ঙ্গম করার সাথে সাথে তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা। মহান আল্লাহ বলেন,
(كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِّيَدَّبَّرُوْا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَّكَّرَ أُولُوا الأَلْبَابِ)
অর্থাৎ, আমি এই বর্কতময় কিতাব তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে ওরা এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরা (এ থেকে) উপদেশ গ্রহণ করে। (কুরআনুল কারীম ৩৮/১৯)
[2] (আহমাদ, মুসনাদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ, হাকেম, মুস্তাদ্রাক, মিশকাতুল মাসাবীহ ১২০৫নং)
[3] (মুসলিম ৭৭২, নাসাঈ ১১৩২নং)