লগইন করুন
মুসলিমগণ নাজ্জাশীর দেশে নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করছিলেন। কুরাইশরা এই খবর জানতে পেরে তাদেরকে সেখান থেকে ফেরত আনার জন্য আব্দুল্লাহ বিন আবী রাবিআ এবং আমর বিন আসকে পাঠাল। তাদের সাথে নাজ্জাশীর মন জয় করার জন্য অনেক মূল্যবান উপঢৌকনও দিয়ে দিল। কিন্তু নাজ্জাশী তাদেরকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করলেন।
কুরাইশ প্রতিনিধিরা রাজ্যের বড় বড় সেনাপতির মাধ্যমেও সুপারিশ করাল। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হলনা। অতঃপর তারা নাজ্জাশীর কাছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এক নতুন ফন্দি বের করল। তারা বলল- মুসলিমরা ঈসা ইবনে মারইয়ামের ব্যাপারে এক বিরাট কথা বলে থাকে। মুসলিমরা তাঁকে আল্লাহর পুত্র না বলে আল্লাহর বান্দা বলে। নাজ্জাশী তাদেরকে পুনরায় স্বীয় দরবারে ডেকে পাঠালেন। জা’ফর বিন আবু তালেব ছিলেন তাদের দলনেতা। নাজ্জাশীর দরবারে প্রবেশ করার পূর্ব মুহূর্তে জা’ফর বললেন- আপনার নিকট হিজবুল্লাহ্ তথা আল্লাহর দল প্রবেশ করার অনুমতি চাচ্ছে। নাজ্জাশী দারোয়ানকে বললেন- তুমি তাঁকে পুনরায় অনুমতি চাইতে বল। জা’ফর (রাঃ) পুনরায় অনুমতি চাইলেন। তারা নাজ্জাশীর কাছে প্রবেশ করলে নাজাশী জিজ্ঞেস করলেন- তোমরা ঈসার ব্যাপারে কি বল? জা’ফর (রাঃ) সূরা মারইয়ামের প্রথমাংশ তিলাওয়াত করলেন। তিলাওয়াত শুনে নাজ্জাশী মাটি থেকে একটি কাষ্ঠখন্ড উঠিয়ে বললেন- আল্লাহর কসম! ঈসা (আঃ) এর চেয়ে একটুও বেশী বলেননি। এ কথায় দরবারে উপস্থিত নাজ্জাশীর সভাসদ ও পাদ্রীরা পেরেশান হয়ে গেল এবং বিভিন্ন আপত্তি উত্থাপন করল। নাজ্জাশী বললেন- তোমরা যাই বল, এটিই আমার কথা। অতঃপর তিনি মুসলিমদেরকে বললেন- তোমরা নিরাপদে আমার রাজ্যে বসবাস করতে থাক। যারা তোমাদের অসুবিধা করবে তাদেরকে আমি শাস্তি দিব। এরপর তিনি কুরাইশদের প্রেরিত দূত দু’জনকে বললেন- তোমরা যদি আমাকে স্বর্ণের একটি পাহাড়ও দান কর তাতেও আমি মুসলিমদেরকে তোমাদের কাছে হস্তান্তর করবনা। অতঃপর তাদেরকে নাজ্জাশীর দরবার হতে তাদের উপঢৌকন ফেরত দিয়ে বের করে দেয়া হল। তারা লজ্জিত হয়ে মক্কায় ফেরত আসল।