লগইন করুন
নাবী (ﷺ) জুমআর দিনকে খুব সম্মান করতেন। তিনি এই দিনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে-
১. জুমআর দিনের ফজরের সলাতে তিনি সূরা আলিফ-লাম-মীম সিজদাহ ও ইনসান পাঠ করতেন। কেননা এই সূরা দু’টিতে জুমআর দিনে যা সংঘটিত হয়েছে এবং যা সংঘটিত হবে তা বর্ণিত হয়েছে।
২. জুমআর দিনে ও রাতে নাবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর বেশী দুরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব। কেননা তাঁর মাধ্যমেই উম্মাত দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ অর্জনে ধন্য হয়েছে। জুমআর দিনেই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান অর্জিত হবে। কেননা এদিনেই তাদেরকে জান্নাতে তাদের ঘরসমূহে স্থান দেয়া হবে। তাতে প্রবেশের পর এ দিনেই তাদেরকে অতিরিক্ত নিয়ামাতটি (আল্লাহর দর্শন) দান করা হবে। অতিরিক্ত পুরস্কারটি পাওয়ার সময় তারা তাদের প্রভুর নিকটবর্তী হবে। আল্লাহর বান্দাগণের মধ্য হতে যারা জুমআর দিন দ্রুত জুমআয় উপস্থিত হবে ও ইমামের নিকটবর্তী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করবে সে অনুপাতেই তারা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হবে এবং অতিরিক্ত নিয়ামত প্রাপ্ত হবে।
৩. জুমআর দিন গোসল করার বিশেষ তাগিদ রয়েছে। এ দিনে গোসল করা ওয়াজিব হওয়ার দলীলগুলো গোপ্তাঙ্গ স্পর্শ করলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, বমি করলে ওযূ আবশ্যক হওয়ার দলীলসমূহের চেয়ে অধিক শক্তিশালী। এমনকি সলাতের শেষ বৈঠকে নাবী (ﷺ) এর উপর দুরূদ পাঠ করা ওয়াজিব হওয়ার দলীলগুলোর চেয়েও অধিক মজবুত।
৪. জুমআর দিন মিসওয়াক করা ও শরীরে খুশবো লাগানো মুস্তাহাব। এ দিনে সুগন্ধি ব্যবহার করা অন্যান্য দিনে তা ব্যবহারের চেয়ে অধিক ফযীলতপূর্ণ কাজ। জুমআর উদ্দেশ্যে সকাল সকাল বের হওয়া, আল্লাহর যিকিরে মশগুল থাকা এবং ইমাম উপস্থিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সলাতরত থাকাও জুমআর দিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
৫. খুতবার সময় চুপ থাকা এবং মনোযোগ দিয়ে তা শুনা জুমআর দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইমাম যখন খুতবা দিবেন তখন চুপ থাকা ওয়াজিব। সূরা জুমআ, মুনাফিকুন, সূরা আ’লা এবং সূরা গাশীয়া দিয়ে জুমআর সলাত পড়াও জুমআর দিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
৬. জুমআর দিন সুন্দর পোশাক পরিধান করা মুস্তাহাব।
৭. জুমআর দিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পায়ে হেঁটে জুমআর সলাতে গমণকারীর জন্য প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে এক বছর দিনের বেলা নফল সিয়াম রাখা ও রাতের বেলা তাহাজ্জুদ সলাতের ছাওয়াব রয়েছে।
৮. জুমআর দিনে বান্দার গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হয়।
৯. এই দিনে রয়েছে দু’আ কবুলের একটি বিশেষ মুহূর্ত।[1]
(ক) জুমআর দিন সূরা কাহাফ পাঠ করলে পরবর্তি জুমআ পর্যন্ত (অপর বর্ণনায় রয়েছে কাবাঘর পর্যন্ত) নূর দ্বারা তাকে আলোকিত করা হয়।
(খ) জুমআর দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হচ্ছে এই দিন দুপুর বেলায় মাকরুহ সময়ে সলাত পড়তে কোন বাধা নেই।