লগইন করুন
উত্তর: নিশ্চয় এটি অর্থাৎ দিরহাম তথা মুদ্রার বিনিময়ে বাকিতে স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় করা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম; কারণ, তা ‘রিবায়ে নাসিয়া’ বা বিলম্বজনিত সুদ; আর ‘উবাদা ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদিসের মধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
« الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ , وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ , وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ , وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ , وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ , وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ سَوَاءً بِسَوَاءٍ يَدًا بِيَدٍ , فَإِذَا اخْتَلَفَتْ هَذِهِ الأَصْنَافُ فَبِيعُوا كَيْفَ شِئْتُمْ إِذَا كَانَ يَدًا بِيَدٍ » . ( رواه مسلم ) .
“স্বর্ণ স্বর্ণের বিনিময়ে, রৌপ্য রৌপ্যের বিনিময়ে, গম গমের বিনিময়ে, যব যবের বিনিময়ে, খেজুর খেজুরের বিনিময়ে এবং লবন লবনের বিনিময়ে লেনদেন সমান সমান ও নগদ নগদ হতে হবে; তবে এ জাতীয় দ্রব্যগুলোর বিনিময় যখন একটা অপরটার সাথে হবে (অর্থাৎ পণ্য যখন এক জাতীয় না হয়ে ভিন্ন রকমের হবে), তখন তোমরা যেভাবে খুশি বিক্রয় করতে পারবে, যদি তা হাতে হাতে তথা নগদ নগদ হয়।”[1] এভাবে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিয়েছেন।
‘আলেমগণ এ ব্যাপারে জানে না’— তার এ উক্তিটি আলেমগণের উপর এক প্রকার অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নয়; কারণ, ঐ ব্যক্তি তো নিজেই আলেমদেরকে ‘আহলুল ‘ইলম’ ( أهل العلم ) তথা ‘বিজ্ঞজন’ বলে আখ্যায়িত করেছে; আর ‘ইলম ( العلم ) তথা জ্ঞান শব্দটি ‘জাহল’ ( الجهل ) তথা মূর্খতা শব্দের বিপরীত; সুতরাং তারা যদি না জানেন, তাহলে তাদেরকে ‘আহলুল ‘ইলম’ ( أهل العلم ) বলে নামকরণ করাটা শুদ্ধ হয় না; অথচ তাঁরা আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাঁর রাসূলের উপর নাযিল করা বিধানের সীমা-পরিসীমা সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এবং তারা জানেন ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের কারবার একটি নিষিদ্ধ কারবার, যা হারাম হওয়ার ব্যাপারে শরী‘য়তের স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে।