লগইন করুন
১০ জিলহজ্জের চতুর্থ আমল হল তাওয়াফে যিয়ারত। তাওয়াফে যিয়ারত ১০ তারিখেই সেরে নেয়া ভালো। কঙ্কর নিক্ষেপ—হাদী জবেহ—ক্ষৌর কার্য এ-তিনটি আমল শেষ করে গোসল করে, সুগন্ধি মেখে সেলাইযুক্ত কাপড় পড়ে পবিত্র কাবার দিকে রওয়ানা হবেন। শুরুতে উমরা আদায়ের সময় যে নিয়মে তাওয়াফ করেছেন ঠিক সে নিয়মে তাওয়াফ করবেন। এ তাওয়াফটি হল হজ্জের ফরজ তাওয়াফ। এ তাওয়াফে রামল ও ইযতিবা নেই। তাওয়াফের পর, উমরা অধ্যায়ে বর্ণিত পদ্ধতিতে সাফা মারওয়ার সাঈ করবেন।
ইফরাদ হজ্জকারী তাওয়াফে কুদুমের পর সাঈ করে থাকলে এখন আর সাঈ করতে হবে না। কেরান হজ্জকারীও পূর্বে সাঈ করে থাকলে এখন আর সাঈ করতে হবে না। তবে তামাত্তু হজ্জকারীকে অবশ্যই সাঈ করতে হবে। কেননা তামাত্তু হজ্জকারীর ইতোপূর্বে সাঈ করে নেয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।
জমহুর ফুকাহার নিকট ১৩ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্বে তাওয়াফে যিয়ারত করে নেয়া উত্তম। তবে এরপরেও করা যেতে পারে, এবং এর জন্য কোনো দম দিতে হবে না। ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ও ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) এর অভিমতও এটাই। অর্থাৎ সাহেবাইনের নিকট তাওয়াফে যিয়ারত আদায়ের সময়সীমা উন্মুক্ত এবং বারো তারিখের পরে আদায় করলে কোনো দম দিতে হবে না।[1]