লগইন করুন
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
আল্লাহ তাআলা সামর্থ্যবান মুকাল্লাফ (শরয়ি ভারপ্রাপ্ত) ব্যক্তির উপর জীবনে একবার হজ্জ আদায় করা ফরজ করেছেন। একবারের বেশি হজ্জ আদায় করলে সেটা নফল হজ্জ হিসেবে গণ্য হবে। এর মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবে। শরয়ি দলিলে নফল হজ্জের কোন সংখ্যা নির্ধারণ সাব্যস্ত হয়নি। বরং এটি মুকাল্লাফ ব্যক্তির আর্থিক ও শারীরিক অবস্থার উপর এবং আশপাশের আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও গরীব-মিসকীনদের অবস্থার উপর নির্ভর করবে। অনুরূপভাবে ব্যক্তির জান ও মাল দিয়ে উম্মতের সার্বিক কল্যাণের কোন কোন খাতে সহযোগিতা করা যায় সেটার উপর নির্ভর করবে। উম্মতের মাঝে তার অবস্থান, তার হজ্জের সফর যাওয়া বা না-যাওয়ার সাথে উম্মতের কী ধরনের স্বার্থ বা কল্যাণ নিহিত আছে তার উপর নির্ভর করবে। এসব বিবেচনা করে অপেক্ষাকৃত যেটা কল্যাণকর ব্যক্তি সেটাকে প্রাধান্য দিবে।
আল্লাহই উত্তম তাওফিকদাতা। আমাদের নবী মুহাম্মদ এর উপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।
গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি
সদস্য: শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আল-আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ বিন গুদয়ান, শাইখ আব্দুল্লাহ বিন কুউদ।
গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (১১/১৪)
সামর্থ্যবান হলে পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার আগে পুনরায় হজ্জ আদায় করা বাঞ্ছনীয়। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তাআলা বলেন: যে বান্দার শরীর সুস্থ আছে, আর্থিক সামর্থ্য আছে কিন্তু পাঁচ বছর গত হয়ে যাওয়ার পরও সে আমার উদ্দেশ্যে সফর করল না সে মাহরুম (বঞ্চিত)”।[সহিহ ইবনে হিব্বান (৯৬০), শাইখ আলবানী সবগুলো সনদ মিলিয়ে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন (সিলসিলা সহিহা ১৬৬২)]।
আল্লাহই ভাল জানেন।