লগইন করুন
এ ব্যাপারে আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:
«عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: لَمَّا فَتَحَ رَسُولُ اللهِ ﷺ خَيْبَرَ، أَصَبْنَا حُمُرًا خَارِجًا مِنَ الْقَرْيَةِ، فَطَبَخْنَا مِنْهَا، فَنَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا إِنَّ اللهَ وَرَسُولَهُ يَنْهَيَانِكُمْ عَنْهَا، فَإِنَّهَا رِجْسٌ»
আনাস (রাঃ) বলেন, খায়বার যুদ্ধে আমরা (গনীমত হিসেবে) গাধার মাংস লাভ করেছিলাম (আর তা পাকানো হচ্ছিল)। এমন সময়ে নাবী (ﷺ) এর পক্ষ থেকে জনৈক ঘোষণাকারী ঘোষণা করলেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) তোমাদিগকে গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন । কেননা তা নাপাক ।[1]
عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ إِلَى خَيْبَرَ، ثُمَّ إِنَّ اللهَ فَتَحَهَا عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا أَمْسَى النَّاسُ الْيَوْمَ الَّذِي فُتِحَتْ عَلَيْهِمْ، أَوْقَدُوا نِيرَانًا كَثِيرَةً، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: «مَا هَذِهِ النِّيرَانُ؟ عَلَى أَيِّ شَيْءٍ تُوقِدُونَ؟» قَالُوا: عَلَى لَحْمٍ، قَالَ: «عَلَى أَيِّ لَحْمٍ؟» قَالُوا: عَلَى لَحْمِ حُمُرٍ إِنْسِيَّةٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَهْرِيقُوهَا وَاكْسِرُوهَا» ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَوْ نُهَرِيقُهَا وَنَغْسِلُهَا؟ قَالَ: «أَوْ ذَاكَ»
সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার আমরা রাসূল (ﷺ) এর সাথে খায়বার অভিমুখে রওনা হলাম। আল্লাহ্ তা‘আলা খায়বার বাসীদের উপর মুসলমানদের বিজয় দান করলেন। যে দিন মুসলমানরা জয় করলেন সে দিন তারা অনেকগুলো চুলায় আগুন ধরালেন। এত চুলায় আগুন জ্বলতে দেখে রাসূল (ﷺ) জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কিসের আগুন এবং তা কেন জ্বালানো হয়েছে? লোকেরা বলল, মাংস রাঁধা হচ্ছে। তিনি জানতে চাইলেন, কিসের মাংস? তারা বললেন গৃহ পালিত গাধার মাংস। তাদের কথা শুনে রাসূল (ﷺ) বললেন, সম্পূর্ণ ফেলে দাও এবং হাঁড়ি-পাতিলগুলো ভেঙ্গে ফেল। এ সময় এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল! মাংস ঢেলে ফেলে হাঁড়িগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে আমরা কি তা ব্যবহার করতে পারব না? তিনি বললেন, হাঁ! অবশ্য তা করতে পার।[2]
সুতরাং, উল্লেখিত হাদীসদ্বয় থেকে বুঝা যায় যে, গৃহ পালিত গাধার মাংস নাপাক। কেনেনা ১ম হাদীসে বলা হয়েছে, ‘فَإِنَّهَا رِجْسٌ’ অর্থাৎ, তা নাপাক। আর ২য় হাদীসে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) প্রথমে পাতিল ভেঙ্গে ফেলার কথা বলেছেন। অতঃপর ২য় বারে তা ধুয়ে পবিত্র করার বৈধতা দিয়েছেন।
[2] মুসলিম হা/১৮০২