লগইন করুন
নেট অস্ত্রের মত, ভাল মন্দ উভয় ভাবে ব্যবহার করা যায়। বাজারে হাউসে আসা অধিকাংশ যুবক তা নোংরা কাজে ব্যবহার করে। তা হলে তা তাদেরকে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা বৈধ নয়। যারা ভাল কাজে ব্যবহার করবে, তাদেরকে ভাড়া দেওয়া যায়। (ইবনে জিবরিন)
মোট কথা নোংরা ও মন্দ কাজে সহযোগিতা করে কোন ব্যবসাই ইসলামে বৈধ নয়। লজ ও হোটেলে বহু যুবক যুবতি এসে রুম ভাড়া নেয়। কিন্তু যদি বুঝা যায় যে, তারা প্রেমিক প্রেমিকা, তাহলে তাদেরকে রুম ভাড়া দেওয়া বৈধ নয়। দোকানে গুড় বিক্রি হয়। কিন্তু যদি জানা যায় যে, এ গুড় দিয়ে ক্রেতা মদ তৈরি করবে, তাহলে তাঁর কাছে গুড় বিক্রি করা বৈধ নয় ইত্যাদি। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“সৎ কাজ ও আত্নসংযমে তোমরা পরস্পর সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে একে অন্যের সাহায্য করো না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে অতি কঠোর। (মায়িদাহঃ ২)
অনেকে বলবেন, ‘তাহলে তো ব্যবসাই চলবে না।’ কিন্তু আপনার ব্যবসায় যদি হারাম প্রবিষ্ট হয়, তাহলে আপনার দ্বীন চলবে কীভাবে? মহান আল্লাহ বলেছেন,
“হে বিশ্বাসীগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, তা থেকে পবিত্র বস্তু আহার কর এবং আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। যদি তোমরা শুধু তারই উপাসনা করে থাক। (বাকারাহঃ ১৭২)