লগইন করুন
ফাত্ওয়া নং - 49020
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ‘ঈদের সালাত ‘ঈদগাহে আদায় করতেন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদের সালাত মাসজিদে আদায় করেছেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।
ইমাম আশ-শাফি‘ঈ ‘আল-উম্ম’- এ বলেছেন :
“আমাদের কাছে এই বর্ণনা পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ‘ঈদের দিন মাদ্বীনার ঈদগাহে যেতেন, তাঁর পরেও সবাই তাই করতেন যদি না তা না করার পেছনে কোন ‘উয্র (অজুহাত) থাকত যেমন বৃষ্টি ইত্যাদি। অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীরাও তাই করতেন মক্কাবাসীরা ব্যতীত।”
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরে দুই ‘ঈদের সালাত আদায় করতে বের হতেন। তাঁর একটি হুল্লাহ (এক বিশেষ পোশাক) ছিল, সেটি পরে তিনি দুই ‘ঈদ এবং জুমু‘আহর সালাত আদায় করতে যেতেন।
হুল্লাহ দুই খণ্ড কাপড় যা একই (জাতীয়) উপকরণে তৈরি।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদুল ফিতর-এর সালাত আদায় করতে যাওয়ার আগে খেজুর খেতেন এবং তা বিজোড় সংখ্যায় খেতেন।
ইমাম আল- বুখারী (৯৫৩) আনাস ইবনু মালিক-রাদিয়াল্লাহু আনহু- থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি বলেছেন :
«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لا يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ ، وَيَأْكُلُهُنَّ وِتْرًا» .
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদুল ফিতর এর দিন সকালবেলা খেজুর না খেয়ে বের হতেন না, আর তিনি তা বিজোড় সংখ্যায় খেতেন।”
ইবনু ক্বুদামাহ বলেছেন :
وَقَالَ اِبْنُ قُدَامَةَ : لا نَعْلَمُ فِي اِسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ الأَكْلِ يَوْمَ الْفِطْرِ اِخْتِلافًا. اِنْتَهَى
“‘ঈদুল ফিতর -এর দিন তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে ফেলা যে মুস্তাহাব্ব, এ ব্যাপারে কোন ভিন্ন মত আমাদের জানা নেই।”
‘ঈদুল ফিতরের দিনে সালাত আদায়ের আগেই খেয়ে ফেলার পেছনে হিক্মাহ হল কেউ যেন এটি না ভাবে যে সালাত আদায় করা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা অপরিহার্য।
এটিও বলা হয়ে থাকে যে, (তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলার পেছনে হিক্মাহ হল) সাওম ওয়াজিব হওয়ার পর সাওম ভঙ্গ করা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা এর আদেশ পূর্ণাংগভাবে অনুসরণের জন্য তৎপর হওয়া।
যদি একজন মুসলিম খেজুর না পায়, তাহলে সে অন্য কোন কিছু, এমনকি পানি দিয়ে হলেও ইফত্বার করবে যাতে নীতিগতভাবে সুন্নাহ অনুসরণ করতে পারে; আর তা হল, ‘ঈদুল ফিত্বর-এর সালাতের আগে ইফত্বার করা (কিছু খাওয়া বা পান করা)।
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদুল ‘আদ্বহার দিন ঈদগাহ থেকে ফেরার আগ পর্যন্ত কিছু খেতেন না, এরপর তিনি তাঁর জবেহ করা পশুর মাংস থেকে খেতেন।
এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি দুই ‘ঈদের দিনই গোসল করতেন।
ইবনুল ক্বাইয়িম বলেছেন :
“এ সম্পর্কে দুইটি দুর্বল হাদীস রয়েছে......তবে ইবনু ‘উমার-রাদিয়াল্লাহু আনহু- যিনি সুন্নাহ অনুসরণের ব্যাপারে অত্যন্ত তৎপর ছিলেন, তাঁর থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি ‘ঈদের দিন বের হওয়ার আগে গোসল করতেন।”
আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদের সালাত আদায় করতে হেঁটে যেতেন এবং হেঁটেই ফিরে আসতেন।
ইবনু মাজাহ (১২৯৫) ইবনু ‘উমার থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন :
«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ إِلَى الْعِيدِ ، مَاشِيًا وَيَرْجِعُ مَاشِيًا». حسنه الألباني في صحيح ابن ماجه
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদের সালাত আদায় করতে হেঁটে যেতেন এবং হেঁটেই ফিরে আসতেন।”
[আল-আলবানী সহীহ ইবনি মাজাহ’তে একে হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন।]
আর ইমাম আত-তিরমিযী (৫৩০) ‘আলী ইবনু আবী ত্বালিব থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন :
«مِنْ السُّنَّةِ أَنْ تَخْرُجَ إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا» . حسنه الألباني في صحيح الترمذي
“‘ঈদের সালাত হেঁটে আদায় করতে যাওয়া সুন্নাহ।”
[আল-আলবানী ‘সহীহ আত-তিরমিযী’-তে একে হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন।]
ইমাম আত-তিরমিযী বলেছেন :
وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ أَنْ يَخْرُجَ الرَّجُلُ إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا . . . وَيُسْتَحَبُّ أَنْ لا يَرْكَبَ إِلا مِنْ عُذْرٍ
“অধিকাংশ ‘আলিমগণ এই হাদীস অনুসরণ করেছেন এবং ‘ঈদের দিনে হেঁটে (সালাত আদায়ের জন্য) বের হওয়াকে মুস্তাহাব্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ... কোন গ্রহণযোগ্য ‘উযর (অজুহাত) ছাড়া যানবাহন ব্যবহার না করা মুস্তাহাব্ব।”
তাছাড়া রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ‘ঈদগাহে পৌঁছতেন, তখন কোনো আযান বা ইক্বামাত বা ‘আস-সালাতু জামি‘আহ’ (সালাত শুরু হতে যাচ্ছে) এরূপ না বলেই সালাত শুরু করতেন, এগুলোর কোনটি না করাই সুন্নাহ।
অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদগাহে ‘ঈদের আগে বা পরে আর কোনো সালাত আদায় করতেন না।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুত্ববাহ -এর আগে সালাত দিয়ে শুরু করতেন। [অর্থাৎ খুতবাহ পরে দিতেন]
তদ্রূপ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই রাকা‘আত সালাতের প্রথম রাকা‘আতে তাকবীরাতুল ইহরাম (তাকবীরে তাহরীমা) সহ পরপর সাতটি তাকবীর দিতেন। প্রতি দুই তাকবীরের মাঝে কিছু সময় বিরতি নিতেন। দুই তাকবীরের মাঝখানে বিশেষ কোনো দো‘আ পড়েছেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে এটি ইবনু মাস‘ঊদ হতে বর্ণিত হয়েছে যে : “তিনি আল্লাহর প্রশংসা করতেন, তাঁর সানা’ (প্রশংসার পুনরাবৃত্তি) পাঠ করতেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর সালাত (দো‘আ) পাঠ করতেন।”
ইবনু ‘উমার যিনি সুন্নাহ অনুসরণের ব্যাপারে অত্যন্ত তৎপর ছিলেন, তিনি প্রতি তাকবীরের সাথে সাথে হাত উঠাতেন।
তাকবীর শেষ করার পর তিনি ক্বিরা‘আত আরম্ভ করতেন। তিনি সূরা আল ফাতিহা পাঠ করার পর দুই রাক‘আতের যে কোনো এক রাক‘আতে “ক্বাফ ওয়াল ক্বুর’আনিল মাজীদ” (৫০ নং সূরা -ক্বাফ) এবং অপর রাক‘আতে “ইক্বতারাবাতিস সা‘আতু ওয়ান শাক্বক্বাল ক্বামার” (৬৪ নং সূরা- আল- ক্বামার) পড়তেন। আবার কখনো “সাব্বিহিস্মা রাব্বিকাল আ‘লা” (৮৭ নং সূরা- আল- আ‘লা) ও “হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়াহ” (৮৮নং সূরা আল- গাশিয়াহ) পড়তেন। এই দুটিই সহীহ বর্ণনাতে পাওয়া যায়। এছাড়া আর কোনো সূরার কথা সহীহ বর্ণনায় পাওয়া যায় না।
ক্বিরা‘আত শেষ করার পর তিনি তাকবীর বলে রুকূ‘ করতেন। এরপর সেই রাক্‘আত শেষ করে সাজদাহ থেকে উঠে দাঁড়ানোর পর পরপর পাঁচটি তাকবীর দিতেন। পাঁচবার তাকবীর দেয়া শেষ করার পর আবার ক্বিরা‘আত আরম্ভ করতেন। সুতরাং তাকবীরই প্রথম জিনিস যা দ্বারা তিনি প্রত্যেক রাক‘আত শুরু করতেন। ক্বিরা‘আত শেষ করার পর তিনি রুকূ‘ করতেন।
আত-তিরমিযী বর্ণনা করেছেন কাসীর ইবন ‘আব্দিল্লাহ ইবন ‘আমর ইবন ‘আওফ থেকে, তিনি তাঁর বাবা থেকে, তিনি তাঁর দাদা থেকে যে-
“রাসূলুল্লাহ দুই ‘ঈদের সালাতে প্রথম রাক‘আতে ক্বিরা‘আতের পূর্বে সাতবার তাকবীর দিতেন এবং অপর রাক‘আতে ক্বিরা‘আতের পূর্বে পাঁচবার তাকবীর দিতেন[1]।”
ইমাম আত-তিরমিযী বলেছেন: “আমি মুহাম্মাদকে- অর্থাৎ ইমাম আল বুখারী-কে এই হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেন: ‘এই বিষয়ে এর চেয়ে সহীহ আর কোনো বর্ণনা নেই।’ আর আমিও এই মত পোষণ করি[2]।”
আর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করতেন, তখন তিনি ঘুরে সবার দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন । সবাই তখন কাতারে বসে থাকত। তিনি তাদেরকে উপদেশ দিতেন, ওয়াসিয়্যাত করতেন, আদেশ করতেন ও নিষেধ করতেন, কোন মিশন পাঠাতে চাইলে তা পাঠাতেন অথবা কাউকে কোন আদেশ করতে হলে সে ব্যাপারে আদেশ করতেন।
আর সেখানে কোন মিম্বার থাকত না যার উপর তিনি দাঁড়াতেন এবং মাদ্বীনার মিম্বারও আনা হত না। বরং তিনি তাদেরকে মাটির উপর দাঁড়িয়েই খুত্ববাহ দিতেন। জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন :
“আমি রাসূলুল্লাহর সাথে ‘ঈদের সালাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুত্ববার আগে কোনো আযান এবং ইক্বামাত ছাড়াই সালাত শুরু করলেন। তারপর তিনি বিলালের কাঁধে হেলান দিয়ে দাঁড়ালেন। এরপর তিনি আল্লাহকে ভয় করার আদেশ দিলেন, আনুগত্য করার ব্যাপারে উৎসাহিত করলেন, মানুষদের উপদেশ দিলেন এবং তাদের স্মরণ করিয়ে দিলেন। এরপর তিনি মহিলাদের কাছে গেলেন, তাদেরকে আদেশ দিলেন ও তাদেরকে (আল্লাহর) বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিলেন।” (আল-বুখারী ও মুসলিম)
আবু সা ‘ঈদ আল খুদরী -রাদিয়াল্লাহু আনহু- বলেছেন :
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদুল ফিতর ও ‘ঈদুল আযহা -এর দিন মুসাল্লায় (ঈদগাহে) যেতেন, এরপর প্রথমেই সালাত দিয়ে শুরু করতেন, তারপর তিনি উঠে গিয়ে লোকদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন, সবাই তখন কাতারে বসে থাকত।”
(এই হাদীসটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সকল খুত্ববাহ আল্লাহর প্রশংসা দ্বারা শুরু করতেন। এমন একটি হাদীসও পাওয়া যায় না যেখানে বলা হয়েছে তিনি দুই ‘ঈদের দুই খুত্ববাহ তাকবীর দিয়ে শুরু করতেন। বরং ইবনু মাজাহ তাঁর সুনান গ্রন্থে (১২৮৭) সা‘দ আল-ক্বুরায থেকে বর্ণনা করেছেন যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মু’আয্যিন ছিলেন :
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই খুত্ববাহর মাঝখানে তাকবীর পাঠ করতেন আর দুই ‘ঈদের খুত্ববাহতে বেশি বেশি করে তাকবীর পাঠ করতেন।”
আল-আলবানী ‘দ্বা‘ঈফ (দুর্বল) ইবন মাজাহ’-তে একে দ্বা‘ঈফ (দুর্বল) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন; এই হাদীসটি দ্বা‘ঈফ (দুর্বল) হলেও এতে এমন কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায় না যে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদের খুত্ববাহ তাকবীর দিয়ে শুরু করতেন।
এবং তিনি (আল আলবানী) ‘তামাম আল- মিন্নাহ’ তে বলেছেন :
“যদিও এই হাদীস ইঙ্গিত করে না যে খুত্ববাহ তাকবীর দিয়ে শুরু করা শারী‘আতসম্মত, তারপরও এটির ইসনাদ দুর্বল এবং এতে এমন একজন ব্যক্তি বর্ণনাকারী আছেন যিনি দুর্বল এবং অপরজন যিনি অচেনা। তাই একে খুত্ববাহ চলাকালীন সময়ে তাকবীর বলা সুন্নাহ হওয়ার ব্যাপারে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা জায়েয নয়।”
ইবনুল ক্বাইয়িম বলেছেন :
“দুই ‘ঈদ ও ইস্তিস্ক্বা’ (বৃষ্টি চাওয়ার সালাত)-এর খুত্ববাহ কি দিয়ে শুরু হবে তা নিয়ে ‘আলিমগণ বিভিন্ন মত পোষণ করেছেন। কেউ বলেছেন, উভয় (দুই ‘ঈদ ও ইস্তিস্ক্বা’) খুত্ববাহই তাকবীর দিয়ে শুরু হবে এবং কেউ বলেছেন, ইস্তিস্ক্বা’ (বৃষ্টি চাওয়ার সালাত )-এর খুত্ববাহ ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) দিয়ে শুরু হবে। আবার কেউ বলেছেন, উভয় (দুই ‘ঈদ ও ইসতিসক্বা’-এর) খুত্ববাহই (আল্লাহর) প্রশংসা দিয়ে শুরু হবে।
শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ বলেছেন: “এটিই সঠিক মত... আর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সব খুত্ববাহই আল্লাহর প্রশংসা দ্বারা শুরু করতেন।”
আর যারা ঈদের সালাতে উপস্থিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বসে খুত্ববাহ শোনা বা চলে যাওয়া উভয়েরই অনুমতি দিয়েছেন।
আবূ দাঊদ (১১৫৫) ‘আবদুল্লাহ ইবন আস- সা’ইব থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন :
شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِيدَ ، فَلَمَّا قَضَى الصَّلاةَ قَالَ : «إِنَّا نَخْطُبُ ، فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَجْلِسَ لِلْخُطْبَةِ فَلْيَجْلِسْ ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَذْهَبَ فَلْيَذْهَبْ» . صححه الألباني في صحيح أبي داود.
“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ‘ঈদের সালাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি সালাত আদায় শেষ করে বললেন, “আমরা এখন খুত্ববাহ প্রদান করছি, তাই যে চায় বসে খুত্ববাহ শুনতে পারে, আর যে চায় সে চলে যেতে পারে।”
[আল-আলবানী একে ‘সহীহ আবি দাঊদে’ সহীহ বলেছেন।]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন পথ পরিবর্তন করতেন। তিনি এক রাস্তা দিয়ে যেতেন, আরেক রাস্তা দিয়ে ফিরে আসতেন।
আল-বুখারী (৯৮৬) জাবির ইবন ‘আবদিল্লাহ-রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা-থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন :
«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ يَوْمُ عِيدٍ خَالَفَ الطَّرِيقَ» .
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন রাস্তা পরিবর্তন করতেন।”
[2] তিরমিযী, আল-‘ইলালুল কাবীর, ১/২৮৮। [সম্পাদক]