লগইন করুন
«السَّلَامُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنْ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ»
‘ক্ববরবাসী মুমিন এবং মুসলমানের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমাদের অগ্রবর্তী এবং পরবর্তীদের উপর আল্লাহ রহম করুন। আমরা নিশ্চয়ই আপনাদের সাথে মিলিত হব ইনশাআল্লাহ।[1]
এছাড়া বুখারী ও মুসলিমে উম্মে আত্বিইয়া (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘মৃতের জানাযা ও কাফন-দাফনে শরীক হতে আমাদেরকে নিষেধ করা হত। কিন্তু আমাদের প্রতি কঠোরতা প্রয়োগ করা হত না’।[2] অর্থাৎ এই নিষেধ ছিল মাকরূহ; হারাম নয়। এসব হাদীছ কি স্পষ্ট প্রমাণ করে না যে, মহিলারা যদি যিয়ারত করতে যেয়ে হারাম কার্য এড়িয়ে চলে, তাহলে তারা ক্ববর যিয়ারত করতে পারে? যদি তা না হয়, তাহলে মুহাম্মাদ বিন ক্বায়স বর্ণিত আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) বর্ণিত উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যা কি হবে?
ইতোপূর্বে এ জাতীয় একটি প্রশ্নের জবাব আমরা প্রদান করেছি। আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা)–এর হাদীছের আলোকে আমরা বলেছি, কোন মহিলা ক্ববর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হলে তা কবীরা গোনাহ হিসাবে বিবেচিত হবে। কিন্তু যদি সে ক্ববর যিয়ারতের নিয়্যত ছাড়াই ক্ববরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে এবং একটু দাঁড়িয়ে ক্ববরবাসীকে সালাম দেয়, তাহলে তাতে কোনো দোষ নেই। এটিই আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা)–এর হাদীছের ব্যাখ্যা। ফলে হাদীছদ্বয়ের মধ্যে আর বৈপরীত্য থাকল না। ‘আমাদেরকে মৃতের জানাযা ও কাফন-দাফনে শরীক হতে নিষেধ করা হত, কিন্তু আমাদের প্রতি কঠোরতা দেখানো হত না’ উম্মে আত্বিইয়া (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা)-এর এই হাদীছের ব্যাখ্যায় বেশীর ভাগ বিদ্বান বলেছেন, ‘আমাদেরকে মৃতের জানাযা ও কাফন-দাফনে শরীক হতে নিষেধ করা হত’ মর্মে উম্মে আত্বিইয়ার এই বর্ণনাটুকুই ধর্তব্য হবে। আর হাদীছের পরবর্তী অংশ ‘আমাদের উপর কঠোরতা করা হত না’ তাঁর নিজস্ব বুঝ। তবে হতে পারে এটিই রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর উদ্দেশ্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে, জানাযার কাজে শরীক হওয়া আর ক্ববর যিয়ারত করা এক নয়। কেননা জানাযার কাজে পুরুষ থাকায় তারা মহিলাদেরকে নিষিদ্ধ কাজ থেকে বাধা দিতে পারে; কিন্তু ক্ববর যিয়ারতের ক্ষেত্রে তা তেমনটি সম্ভব হয় না।
[2]. বুখারী, ‘জানাযা’ অধ্যায়, হা/১২৭৮; মুসলিম, ‘জানাযা’ অধ্যায়, হা/৯৩৮।