লগইন করুন
শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ এবং ছওয়াবের আশায় মানুষ ক্ববর যিয়ারত করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা ক্ববর যিয়ারত কর। কেননা তা আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়’।[1]
তবে যে ব্যক্তি বরকত লাভের উদ্দেশ্যে অথবা ক্ববরবাসীর কাছে প্রার্থনার উদ্দেশ্যে ক্ববর যিয়ারত করে, তার এই যিয়ারত বিদ‘আতী যিয়ারতও হতে পারে, আবার শিরকী যিয়ারতও হতে পারে। আল্লাহ্র প্রশংসা যে, আমাদের দেশে (অর্থাৎ সৌদী আরবে) এমনটি পাওয়া যায় না। যদিও কোন কোন ইসলামী রাষ্ট্রে এরূপ যিয়ারতের প্রচলন আছে।
যাহোক, ক্ববর যিয়ারত দুই ধরনেরঃ
১. নির্দিষ্টভাবে কোন এক ব্যক্তির ক্ববর যিয়ারত করা। এই ক্ষেত্রে যিয়ারতকারী ক্ববরটির পাশে দাঁড়িয়ে তার জন্য যত ইচ্ছা দো‘আ করবে; যেমনটি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছিলেন। (ঘটনা হল) রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্র কাছে তাঁর মায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার অনুমতি চাইলে আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে অনুমতি দেন নি। কিন্তু তাঁর মায়ের ক্ববর যিয়ারতের অনুমতি চাইলে তিনি তাঁকে অনুমতি দেন।[2] ফলে তিনি তাঁর কতিপয় ছাহাবীকে নিয়ে তাঁর মায়ের ক্ববর যিয়ারত করেন।
২. ক্ববরস্থানের সবার ক্ববর যিয়ারত করা। এক্ষেত্রে যিয়ারতকারী ক্ববরসমূহকে সামনে করে দাঁড়াবে এবং ক্ববরবাসীদেরকে সালাম প্রদান করবে; যেমনটি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাকী‘ নামক ক্ববরস্থান যিয়ারতের সময় করতেন। তিনি বলতেন:
«السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ, وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ. يَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَمِنْكُمْ وَالْمُسْتَأْخِرِينَ. نَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ, اَللَّهُمَّ لاَ تَحْرِمْنَا أَجْرَهُمْ, وَلاَ تَفْتِنَّا بَعْدَهُمْ, وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُمْ»
‘হে ক্ববরবাসী মুমিনগণ! আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমরাও ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথে মিলিত হব। আমাদের ও আপনাদের অগ্রবর্তী ও পরবর্তীদের উপরে আল্লাহ রহম করুন। আমরা আমাদের ও আপনাদের জন্য আল্লাহ্র কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! তাদের পূণ্য থেকে আপনি আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না। তাদের মৃত্যুর পরে আমাদেরকে আপনি ফেতনায় ফেলবেন না। আপনি আমাদেরকে এবং তাদেরকে ক্ষমা করে দিন’।[3]
[2]. মুসলিম, ‘জানাযা’ অধ্যায়, হা/৯৭৬।
[3]. ছহীহ মুসলিম, ‘জানাযা’ অধ্যায়, হা/ ৯৭৪, ৯৭৫।