লগইন করুন
এটি শির্কের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ أَمَّن يُجِيبُ ٱلۡمُضۡطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكۡشِفُ ٱلسُّوٓءَ وَيَجۡعَلُكُمۡ خُلَفَآءَ ٱلۡأَرۡضِۗ أَءِلَٰهٞ مَّعَ ٱللَّهِۚ قَلِيلٗا مَّا تَذَكَّرُونَ ٦٢ ﴾ [النمل: ٦٢]
“কে নিরূপায়ের ডাকে সাড়া দেন, যখন সে ডাকে এবং কষ্ট দূরীভূত করেন?” (নামল ৬২)।। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া তার ডাকে কেউ সাড়া দিবে না এবং কষ্টও দূর করবে না। আর এটি শির্ক এ কারণে যে, আল্লাহ্র কাছে সাহায্য চাওয়া ইবাদত। আর ইবাদত একমাত্র আল্লাহ্র জন্যই হতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ إِذۡ تَسۡتَغِيثُونَ رَبَّكُمۡ فَٱسۡتَجَابَ لَكُمۡ﴾ [الانفال: ٩]
“তোমরা যখন তোমাদের প্রতিপালকের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে, তখন তিনি তোমাদের ডাকে সাড়া দিলেন” (আনফাল ৯)। আবু হুরায়রাহ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِىءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ بَعِيرٌ لَهُ رُغَاءٌ يَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِى. فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ. لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِىءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ فَرَسٌ لَهُ حَمْحَمَةٌ فَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِى. فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ»
“আমি তোমাদের কাউকে কিয়ামতের দিন যেন এ অবস্থায় না পাই যে, সে তার কাঁধে উট বয়ে বেড়াচ্ছে আর তা চিৎকার দিচ্ছে। ঐ ব্যক্তি আমাকে বলবে, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আমি বলব, আমিতো (দুনিয়ায়) তোমাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না। আমি তোমাদের কাউকে কিয়ামতের দিন যেন এ অবস্থায় না পাই যে, সে তার কাঁধে ঘোড়া বয়ে বেড়াচ্ছে আর তা চিৎকার করছে। ঐ ব্যক্তি আমাকে বলবে, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে সাহায্য করুন। আমি বলব, আমিতো (দুনিয়ায়) তোমাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, আমি তোমার জন্য কিছু করতে পারব না” (বুখারী ও মুসলিম)।
তবে জীবিত এবং উপস্থিত ব্যক্তি যে বিষয়ে সহযোগিতা করতে সক্ষম, সে বিষয়ে তার সহযোগিতা চাওয়া যাবে। যেমনভাবে মূসা আলাইহিস সালামের স্বগোত্রীয় এক ব্যক্তি তাঁর কাছে তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য চেয়েছিলেন। এরশাদ হচ্ছে,
﴿ فَٱسۡتَغَٰثَهُ ٱلَّذِي مِن شِيعَتِهِۦ عَلَى ٱلَّذِي مِنۡ عَدُوِّهِۦ﴾ [القصص: ١٥]
“অতঃপর যে তাঁর নিজ দলের, সে তার শত্রু পক্ষের লোকটির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল” (ক্বাছাছ ১৫)। আগেই বলা হয়েছে, মৃত ও অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে সাহায্য চাওয়া শির্ক। চার ইমাম এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছেন।