কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ফিকাহ প্রথম পর্ব - তাওহীদ ও ঈমান মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম আত্তুওয়াইজিরী
দোস্তী ও দুশমনির সূক্ষ্ম বুঝ

বন্ধুত্ব ও দোস্তী হলো: মুমিনদেরকে ভালবাসা, সাহায্য করা, সম্মান ও ইজ্জত করা।

দুশমনি ও শত্রুতা হলো: কাফেরদের থেকে দূরে ও সম্পর্ক ছিন্ন করা। এ ছাড়া তাদেরকে ভয় প্রদর্শন ও ওজরের পরে তাদের সাথে দুশমনি ও শত্রুতা রাখা।

মিত্রতা হলো আল্লাহ ও তাঁর দ্বীন, রসূল ও অলিদের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। আর শত্রুতা হলো বাতিল ও তার পরিবারকে ঘৃণার চিত্র ও দৃশ্য।

মিত্রতা ও শত্রুতা তাওহীদের বিশাল একটি বিষয়; কারণ ইহাই হচ্ছে তাওহীদ, ঈমান, আনুগত্য, তাকওয়া এবং বন্ধুত্ব ও দুশমনি। আর দুনিয়া ও আখেরাতে নিরাপত্তা বাস্তবায়ন হবে ঈমান ও শিরক ও মুশরেকদের সাথে দুশমনি দ্বারাই। আর জমিনে তাওহিদী কালেমা ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে না যতক্ষণ মিত্রদের সাথে মিত্রতা এবং শত্রুদের সাথে শত্রুতা করা না হবে।

১. আল্লাহ তা‘য়ালার বাণী:

اِنَّمَا وَلِیُّکُمُ اللّٰهُ وَ رَسُوۡلُهٗ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا الَّذِیۡنَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ هُمۡ رٰکِعُوۡنَ ﴿۵۵﴾  وَ مَنۡ یَّتَوَلَّ اللّٰهَ وَ رَسُوۡلَهٗ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فَاِنَّ حِزۡبَ اللّٰهِ هُمُ الۡغٰلِبُوۡنَ ﴿۵۶﴾

‘‘তোমাদের বন্ধু আল্লাহ, তাঁর রসূল এবং মুমিনরা-যারা সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং বিনম্র। আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূল এবং মুমিনদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই আল্লাহর দল এবং তারাই বিজয়ী।’’ [সূরা মায়েদা:৫৫-৫৬]

২. আল্লাহ তা‘য়ালার বাণী:

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا دِیۡنَکُمۡ هُزُوًا وَّ لَعِبًا مِّنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ الۡکُفَّارَ اَوۡلِیَآءَ ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۵۷﴾

‘‘হে মুমিনগণ, আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও।’’ [সূরা মায়েদা:৫৭]

৩. আল্লাহ তা‘য়ালার বাণী:

قَدۡ کَانَتۡ لَکُمۡ اُسۡوَۃٌ حَسَنَۃٌ فِیۡۤ اِبۡرٰهِیۡمَ وَ الَّذِیۡنَ مَعَهٗ ۚ اِذۡ قَالُوۡا لِقَوۡمِهِمۡ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنۡکُمۡ وَ مِمَّا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ۫ کَفَرۡنَا بِکُمۡ وَ بَدَا بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃُ وَ الۡبَغۡضَآءُ اَبَدًا حَتّٰی تُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰهِ

‘‘তোমাদের জন্যে ইবরাহীম ও তাঁর সংঙ্গীগণের মধ্যে চমৎকার আদর্শ রয়েছে। তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল: তোমাদের সাথে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত কর, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে মানিনা। তোমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করলে তোমাদের মধ্যে ও আমাদের মধ্যে চিরশত্রুতা থাকবে।’’ [সূরা মুমতাহিনাহ:৪]


কার্যকর মূলনীতিসমূহ যার দ্বারা বাস্তবায়িত হবে মিত্রতা ও শত্রুতা:

তাওহিদী কলেমা নিম্নের বিষয়াদিতে দোস্তী ও দুশমনি দাবী রাখে:

প্রথমত: মুমিনদের সাথে বন্ধুত্ব এবং কাফেরদের সাথে শত্রুতা রাখা। এ ছাড়া আল্লাহর শরিয়তের আনুগত্য এবং আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান দ্বারা ফয়সালা করা আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং তাগূতকে অস্বীকার করা।

আল্লাহ তা‘য়ার বাণী:

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الۡیَهُوۡدَ وَ النَّصٰرٰۤی اَوۡلِیَآءَ ۘؔ بَعۡضُهُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّهُمۡ مِّنۡکُمۡ فَاِنَّهٗ مِنۡهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۵۱﴾


‘‘হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।’’ [সূরা মায়েদা:৫১]

দ্বিতীয়ত: তাওহীদের সাক্ষ্য (লা ইলাহা ইল্লাল্লাাহ, মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ) একজন মুসলিমকে তাঁর মুসলিম ভাইয়ের সাথে বাস্তবে বন্ধুত্ব রাখা ওয়াজিব করে দেয়। আর জাহেলিয়াতের সমস্ত গোত্রীয়তাবাদ, জাতীয়তাবাদ ও বর্ণবাদের বন্ধুত্বকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একজন মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই চাই সে যেখানেই হোক না কেন। আর ইসলামী রাষ্ট্র মুসলিমের রাষ্ট্র তা পৃথিবীর যে কোন স্থানে হোক না কেন।

আল্লাহ তা‘য়ালার বাণী:

وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ وَ الۡمُؤۡمِنٰتُ بَعۡضُهُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ۘ یَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡهَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ یُطِیۡعُوۡنَ اللّٰهَ وَ رَسُوۡلَهٗ ؕ اُولٰٓئِکَ سَیَرۡحَمُهُمُ اللّٰهُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۷۱﴾


‘‘আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা সৎকর্মের আদেশ ও অসৎকর্মের নিষেধ করে। আর সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য করে। এদেরই উপর আল্লাহ দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্ররাক্রমশালী, সুকৌশলী।’’ [সূরা তাওবাহ:৭১]

আল্লাহ তা‘য়ালার বাণী:

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوۡۤا اٰبَآءَکُمۡ وَ اِخۡوَانَکُمۡ اَوۡلِیَآءَ اِنِ اسۡتَحَبُّوا الۡکُفۡرَ عَلَی الۡاِیۡمَانِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّهُمۡ مِّنۡکُمۡ فَاُولٰٓئِکَ هُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۲۳﴾

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা, ও ভাইদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের যারা তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালঙ্ঘনকারী।’’ [সূরা তাওবাহ:২৩]

তৃতীয়ত: দ্বীনের নিদর্শনাবলি, বিধানসমূহ ও সমস্ত আদব প্রকাশ করা। আর আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নত দ্বারা মুসলিমের পার্থক্যকরণ ও সম্মানবোধ করা। এ ছাড়া কুরআন-সুন্নার বিপরীত সকল চিন্তা, কথা ও কাজ পরিহার করা। আর নব জাহেলিয়াতকে শূন্য করা ও তার জালিয়াতির মুখোশ খুলে দেয়া; যাতে করে মানুষ তার ধোকায় না পড়ে।

আল্লাহ তা‘য়ালা বাণী:

قُلۡ اِنَّ صَلَاتِیۡ وَ نُسُکِیۡ وَ مَحۡیَایَ وَ مَمَاتِیۡ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۶۲﴾ۙ  لَا شَرِیۡکَ لَهٗ ۚ وَ بِذٰلِکَ اُمِرۡتُ وَ اَنَا اَوَّلُ الۡمُسۡلِمِیۡنَ ﴿۱۶۳﴾


‘‘বলুন! আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ সবকিছুই একমাত্র বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোন শরিক নেই, আর এরই আদেষ্টিত হয়েছি এবং আমিই সর্বপ্রথম মুসলিম।’’ [সূরা আন‘আম:১৬২-১৬৩]

চতুর্থত: পৃথিবীর যে কোন স্থানের মাজলুম মুসলিমদের সাহায্য করা। এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই তার প্রতি ওয়াজিব হলো তার পাশে দাঁড়ানো। এ ছাড়া প্রতিটি স্থানে ও ব্যাপারে তাকে অর্থ, হাত ও জবান দ্বারা সাহায্য করা জরুরি।

আর তাওহীদের পরে সবচেয়ে বড় ওয়াজিব হলো আল্লাহর অলিদেরকে সাহায্য করা তাতে সে যেই হোক ও যেখানেই হোক না কেন। আর শয়তানের অলিদের সাথে শত্রুতা রাখা তাতে সে যেই হোক ও যেখানেই হোক না কেন। যদি উম্মতে মুসলিমা এ দায়িত্ব পালন না করে তবে নিজেদেরকে ফেতনা ও বিশাল বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেবে।

আল্লাহ তা‘য়ালার বাণী:

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ هَاجَرُوۡا وَ جٰهَدُوۡا بِاَمۡوَالِهِمۡ وَ اَنۡفُسِهِمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ الَّذِیۡنَ اٰوَوۡا وَّ نَصَرُوۡۤا اُولٰٓئِکَ بَعۡضُهُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ لَمۡ یُهَاجِرُوۡا مَا لَکُمۡ مِّنۡ وَّلَایَتِهِمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ حَتّٰی یُهَاجِرُوۡا ۚ وَ اِنِ اسۡتَنۡصَرُوۡکُمۡ فِی الدِّیۡنِ فَعَلَیۡکُمُ النَّصۡرُ اِلَّا عَلٰی قَوۡمٍۭ بَیۡنَکُمۡ وَ بَیۡنَهُمۡ مِّیۡثَاقٌ ؕ وَ اللّٰهُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۷۲﴾  وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بَعۡضُهُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ اِلَّا تَفۡعَلُوۡهُ تَکُنۡ فِتۡنَۃٌ فِی الۡاَرۡضِ وَ فَسَادٌ کَبِیۡرٌ ﴿ؕ۷۳﴾

‘‘এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে, স্বীয় জানমাল দ্বারা আল্লাহর রাহে জিহাদ করেছে এবং যারা তাদেরকে আশ্রয় ও সাহায্য সহায়তা দিয়েছে, তারা একে অপরের বন্ধু। আর যারা ঈমান এনেছে কিন্তু দেশত্যাগ করেনি তাদের বন্ধুত্বে তোমাদের প্রয়োজন নেই যতক্ষণ না তারা দেশত্যাগ করে। অবশ্য যদি তারা ধর্মীয় ব্যাপারে তোমাদের সহায়তা কামনা করে, তবে তাদের সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য। কিন্তু তোমাদের সাথে যাদের সহযোগী চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে, তাদের মোকাবেলায় নয়। বস্ত্তত: তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ সে সবই দেখেন। আর যারা কাফের তারা পারস্পরিক বন্ধু। তোমরা যদি এমন ব্যবস্থা না কর, তবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বিস্তার লাভ করবে এবং  দেশময় বড়ই অকল্যাণ হবে।’’ [সূরা আনফাল:৭২-৭৩]

পঞ্চমত: মুমিনদেরকে আশান্বিত করা এবং আল্লাহর সাহায্য তাঁর অলিদের জন্য অতি নিকটে তার সুসংবাদ দেয়া। এ ছাড়া আল্লাহর দুশমন কাফেরদের জন্য লাঞ্ছনা অতি নিকটে তারও খবর দেয়া।

আল্লাহ তা‘য়ালার বাণী:

وَ لَیَنۡصُرَنَّ اللّٰهُ مَنۡ یَّنۡصُرُهٗ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَقَوِیٌّ عَزِیۡزٌ ﴿۴۰﴾  اَلَّذِیۡنَ اِنۡ مَّکَّنّٰهُمۡ فِی الۡاَرۡضِ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّکٰوۃَ وَ اَمَرُوۡا بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ نَهَوۡا عَنِ الۡمُنۡکَرِ ؕ وَ لِلّٰهِ عَاقِبَۃُ الۡاُمُوۡرِ ﴿۴۱﴾

‘‘আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্ররাক্রমশালী, শক্তিধর। তারা এমন লোক যাদেরকে আমি পৃথিবীতে শক্তি-সামর্থ্য দান করলে তারা সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ করে। প্রত্যেক কর্মের পরিণাম আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।’’ [সূরা হাজ্ব:৪০-৪১]

নিঃসন্দেহে পরিণাম মুত্তাকীন এবং সাহায্য ধৈর্যশীল ও ঈমানদার আল্লাহর অলিগণের জন্য অবধারতি।


আল্লাহ তা‘য়ালার বাণী:

فِیۡ بِضۡعِ سِنِیۡنَ ۬ؕ لِلّٰهِ الۡاَمۡرُ مِنۡ قَبۡلُ وَ مِنۡۢ بَعۡدُ ؕ وَ یَوۡمَئِذٍ یَّفۡرَحُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ﴿۴﴾ بِنَصۡرِ اللّٰهِ ؕ یَنۡصُرُ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الرَّحِیۡمُ ۙ﴿۵﴾ وَعۡدَ اللّٰهِ ؕ لَا یُخۡلِفُ اللّٰهُ وَعۡدَهٗ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۶﴾

‘‘অগ্র-পশ্চাতের কাজ আল্লাহর হাতেই। সেদিন মুমিনগণ আনন্দিত হবে। আল্লাহর সাহায্যে, তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশীল, পরাম দয়ালু। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হয়ে গেছে, আল্লাহ তাঁর প্রতিশ্রুতি খেলাফ করবেন না। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।’’ [সূরা রূম: ৪-৬]