লগইন করুন
উত্তর: সাওবান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
»أيما امرأة سألت زوجها طلاقها من غير ما بأس فحرام عليها رائحة الجنة«
“যে কোনো নারী কোনো কারণ ছাড়াই স্বামীর নিকট তালাক তলব করল, তার ওপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম”।[1]
কারণ, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে অপছন্দীয় হালাল হচ্ছে তালাক, প্রয়োজন হলেই তার স্মরণাপন্ন হবে, অন্যথায় তলব করা মাকরূহ। কারণ, তার পশ্চাতে সৃষ্ট ক্ষতি কারো নিকট অস্পষ্ট নেই। প্রয়োজনের তালাক, যেমন স্বামীর হক আদায়ে স্ত্রীর অস্বীকৃতি জানানো, যার ফলে স্বামী স্ত্রী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿فَإِمۡسَاكُۢ بِمَعۡرُوفٍ أَوۡ تَسۡرِيحُۢ بِإِحۡسَٰنٖۗ﴾ [البقرة: ٢٢٩]
“অতঃপর বিধি মোতাবেক রেখে দেবে কিংবা সুন্দরভাবে ছেড়ে দেবে”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২৯]
অপর আয়াতে বলেন:
﴿لِّلَّذِينَ يُؤۡلُونَ مِن نِّسَآئِهِمۡ تَرَبُّصُ أَرۡبَعَةِ أَشۡهُرٖۖ فَإِن فَآءُو فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٢٢٦ وَإِنۡ عَزَمُواْ ٱلطَّلَٰقَ فَإِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ ٢٢٧﴾ [البقرة: ٢٢٦، ٢٢٧]
“যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে মিলিত না হওয়ার শপথ করবে তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর তারা যদি ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আর যদি তারা তালাকের দৃঢ় ইচ্ছা করে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২৬-২২৭]