লগইন করুন
বাইবেলের পঞ্চম পুস্তক ‘দ্বিতীয় বিবরণ’ প্রসঙ্গে ‘যায়নবাদ বিতর্ক’ (The Controversy Of Zion) পুস্তকের লেখক ডগলাস রীড (Douglas Reed) বলেন:
“Deuteronomy is above all a complete political programme: the story of the planet, created by Jehovah for this "special people", is to be completed by their triumph and the ruination of all others. The rewards offered to the faithful are exclusively material: slaughter, slaves, women, booty, territory, empire. The only condition laid down for these rewards is observance of "the statutes and judgments", which primarily command the destruction of others. The only guilt defined lies is non-observance of these laws. Intolerance is specified as observance; tolerance as non-observance, and therefore as guilt. The punishments prescribed are of this world and of the flesh, not of the spirit. By the time the end of Deuteronomy is reached the moral commandments have been nullified in this way, for the purpose of setting up, in the guise of a religion, the grandiose political idea of a people especially sent into the world to destroy and "possess" other peoples and to rule the earth. The idea of destruction is essential to Deuteronomy. If it be taken away no Deuteronomy, or Mosaic Law, remains.”
‘‘সর্বোপরি দ্বিতীয় বিবরণ একটা পুরোপুরি রাজনৈতিক কর্মসূচি। পৃথিবী নামক গ্রহের গল্প হল, বাইবেলের ঈশ্বর যিহোভা তার বিশেষ প্রজা ‘ইসরাইলের’ জন্য এটাকে সৃষ্টি করেছেন। অন্য সকলের ধ্বংসের মাধ্যমে তাঁর এ প্রিয় প্রজার বিজয়ে এ গল্প পূর্ণ হবে। বিশ্বাসীদের জন্য যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে তা নির্ভেজালভাবে জাগতিক: গণহত্যা, দাসদাসী, নারী, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ, দেশ দখল, সাম্রাজ্য স্থাপন। আর এ সকল পুরস্কার লাভের জন্য একটাই শর্ত: বিধান ও বিচার মান্য করা। আর এ বিধান ও বিচারের মূল কথা: সকলকে ধ্বংস ও নির্মূল কর। একমাত্র পাপ এ নির্দেশ পালনে অবহেলা। অসহিষ্ণুতাকেই বিধান পালন হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং সহিষ্ণুতাকে বিধান অমান্য করা বলে গণ্য করা হয়েছে। কাজেই সহিষ্ণুতাই অপরাধ। যত শাস্তির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে সবই জাগতিক ও দৈহিক, কোনো কিছুই পরলৌকিক বা আত্মিক নয়। দ্বিতীয় বিবরণ যখন সমাপ্তিতে উপনীত হল তখন এভাবে সকল নৈতিক বিধানকে অকার্যকর করা হয়েছে। একটা বিশেষ জাতিকে পৃথিবীর উপরের সকল জাতিকে পদানত ও শাসন করতে প্রেরণ করা হয়েছে এমন একটা সুবৃহৎ রাজনৈতিক চিন্তাকে ধর্মের ছদ্মাবরণে পেশ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিবরণের মূল ও অবিচ্ছেদ্য চেতনা ধ্বংস করা। ধ্বংসের তত্ত্বকে বাদ দিলে কোনো দ্বিতীয় বিবরণ থাকে না এবং কোনো মূসায়ী শরীয়তও থাকে না।’’[1]